নাগরাকাটা: ভেস্তে গিয়েছে বৃহস্পতিবারের বোনাস বৈঠক। মালিকপক্ষের ৮.৫০ শতাংশ হারের বোনাস প্রস্তাবে রুষ্ট যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র চা শ্রমিক সংগঠন শুক্রবার থেকে গেট মিটিং শুরু করেছে বিভিন্ন চা বাগানে।
তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের হিলা চা বাগান ইউনিটের সম্পাদক দুর্গা মাহালি জানান, যে কোনও মূল্যে ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে। তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন এও জানিয়েছে, ২০ শতাংশ বোনাসের আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত ধাপে ধাপে গেট মিটিং চলতে থাকবে। এবিষয়ে মালিকদের যৌথ মঞ্চ কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্ল্যান্টেশনস অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গের আহ্বায়ক অমিতাংশু চক্রবর্তীর বক্তব্য, বোনাস নিয়ে আলোচনা চলছে। পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণের কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকালের বৈঠকে সমস্ত সংগঠনকে বলা হয়েছিল গেট মিটিং জাতীয় কোনও আন্দোলনে না যাওয়ার জন্য। বিটিডব্লিইউইউ-এর উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা বলেন, ‘মালিকরা কি বলছেন তা নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। দাবি একটাই। ২০ শতাংশ হারে বোনাস। এর কমে যদি রফা হয় তবে সেই চুক্তিতে আমরা নেই। স্বাক্ষরও করব না।’ অন্যদিকে চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম অবশ্য এখনই এই জাতীয় আন্দোলনের পথে হাঁটছে না। ফোরামের অন্যতম শীর্ষ নেতা মণি কুমার দার্ণালের কথায়, কথা হয়েছিল সবকটি শ্রমিক সংগঠন জোটবদ্ধভাবে নিজেদের দাবিকে তুঙ্গে নিয়ে যাবে। দুই সংগঠনের পৃথক গেট মিটিংয়ে কার কী লাভ হচ্ছে জানা নেই।
এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে নাগরাকাটার হিলা, গাঠিয়া, জিতি, ধরণিপুর, গ্রাসমোড়, নয়া সাইলি, লুকসান, মেটেলির নাগেশ্বরী, কিলকোট, বানারহাটের ডায়নার মতো ডুয়ার্সের একাধিক বাগানে গেট মিটিং চলে। জানা গিয়েছে, আগামীকালও গেট মিটিং চলবে।