হরিশ্চন্দ্রপুর: বোনের কাছ থেকে ছাতা চাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা। সূত্রের খবর, আক্রান্ত ব্যক্তি উজ্জ্বল মাহার এলাকায় একটি ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট বা সিএসপি চালান। সেইখানে আধার কার্ড সংক্রান্ত কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বোন। অভিযোগ তখন বৃষ্টি থাকায় ওই তরুণীর কাছে তাঁর ছাতাটি একটু চান ওই সিএসপির মালিক। এর জেরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তরুণী বাড়িতে এসে এই কথা বললে তাঁর দাদা তথা তৃণমূলের যুবনেতা দুর্জয় দাস দলবল নিয়ে ওই সিএসপি মালিককে স্থানীয় একটি ক্লাবে তুলে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করেন। ক্লাবের দরজা বন্ধ করে লোহার রড দিয়ে তাঁকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই সিএসপি মালিক উজ্জল মাহারকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। উজ্জল মাহারের স্ত্রী মৈত্রি মাহার শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আটজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত দুর্জয় দাসকে গ্রেপ্তার করে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে। দুর্জয় দাস তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত।
মৈত্রী মাহার জানান, তাঁর স্বামীকে ক্লাবে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। উনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোশারফ হোসেন জানান, ‘ওই সিএসপি মালিক দলের কর্মীর বোনকে কটুক্তি করেছিল। মেয়েটি প্রতিবাদ করায় ওই ব্যক্তি আরও বাজে ব্যবহার করে। তারপরই মেয়েটির দাদার সঙ্গে ওই সিএসপি মালিকের গন্ডগোল হয়। তবে বিষয়টি পুলিশ দেখছে। আমরা চাইবো আইন আইনের পথেই চলুক।’