গাজোল: গাজোল শহর এলাকায় বেশকিছু পুজো নজরকাড়ে দর্শনার্থীদের। তবে শহর এলাকার পাশাপাশি প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও বেশ কয়েক বছর ধরে বড় মাপের কালীপুজো হয়ে আসছে। তাদের মধ্যে অন্যতম চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোবা খোকসান গ্রামের বিপ্লবী স্পোর্টিং ক্লাব অ্যান্ড লাইব্রেরি পরিচালিত কালীপুজো। এখানে পূজিত হন ২২ হাতের কালী প্রতিমা। আর তা দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। কালী পুজোকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে এখানে চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠিত হয় গ্রামীণ মেলা।
গাজোল ব্লকের প্রান্তিক গ্রাম ডোবা খোকসান। শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। আর এই প্রান্তিক গ্রামেই ১৪ বছর ধরে পুজো করে আসছে এই ক্লাব। সংগঠনের সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল জানান, গাজোল ব্লকের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি চাকনগর অঞ্চল। প্রান্তিক এলাকার মানুষের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বলতে দুর্গাপুজো আর কালী পুজো। একসময় বিভিন্ন জায়গায় ধুমধাম করে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হলেও এখানে হত না। এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে পুজোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে শুরু, বাইশ হাতের কালী প্রতিমায় পুজো শুরু হয়। এবার তাঁদের পুজো ১৪তম বর্ষে পা দিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রতিবছর পুজোকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং মেলা। এবছরও ৮ দিন ধরে গ্রামীণ মেলা চলবে। দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। পুজো মন্দির সহ গোটা মেলা চত্বর সিসিটিভি বসবে।
এবছর প্রতিমা তৈরি করছেন মৃৎশিল্পী অসীম দেবনাথ, পুজো করবেন প্রণয় চক্রবর্তী। পুজোকে কেন্দ্র করে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখানে হয় তাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেন বাইরের শিল্পীরাও। সব মিলিয়ে পুজোকে কেন্দ্র করে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।