রায়গঞ্জ: প্রেমিককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রায়গঞ্জ থানায় প্রেমিকা সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃত প্রেমিকের বাবা আব্বাস আলী। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, এদিন ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই প্রেমিকের নাম নওশাদ আলী(২৩)। বাড়ির রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল এলাকায়। তিনি বেঙ্গালুরুর একটি নামি বেসরকারি নার্সিং কলেজের এমএসসি নার্সিং পড়ুয়া ছিলেন। অভিযোগ, চলতি মাসের ১২ তারিখে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। দিন পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও ছেলে না ফেরায় ফোন করেন বাবা। সেই ফোনেই ছেলের আর্তনাদ শোনা যায়। বাবার কাছে প্রাণ বাঁচানোর আর্জি জানায় ছেলে। এরপর মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই টাকা জোগাড় করতে পারেনি ছেলের পরিবার। এরপর ওই যুবককে করণদিঘি থেকে মেয়ের মামার বাড়ি গোয়ালপোখরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারধর করলে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়। পূর্ণিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর সেই মৃতদেহ লোপাট করার জন্য বিহারের একটি অ্যাম্বুল্যান্স করে কিশনগঞ্জে পাচার করার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের পরিবারের লোকেরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের থেকে সমস্ত বিষয়ে জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। এদিন চাকুলিয়া এলাকা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স সহ ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মৃতের বাবা বলেন, ‘এই ঘটনায় আমার ছেলের প্রেমিকা সালমা খাতুন, তার বাবা পেশায় স্কুল শিক্ষক হাবিবুর রহমান, ও তার দুই মামা মিরাজুল আহমেদ ও আমিরুল আহমেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি চাই অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।‘ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমঘটিত কারণে অথবা দুজনের সম্পর্কের অবনতির কারণে ওই যুবক খুন হতে পারে। রায়গঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।