রায়গঞ্জঃ কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার অপরাধে বিয়ের ১৪ মাসের মাথায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন স্বামী। একরত্তি সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নির্যাতিতা বধু। ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার অভিনগর গ্রামে। অসহায় ওই বধূ রায়গঞ্জ মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গিয়েছে, স্বামী আনসারুল মহম্মদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ মহিলা থানায় নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা রিনা খাতুন (১৯)। রিনা জানান, ১৪ মাস আগে তার বিয়ে হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা আসবাবপত্র চার ভরি সোনা বিয়ে দেন তার বাবা। মাস দুয়েক আগে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকেই তার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। তাঁর অভিযোগ মাস চারেক ধরে বাড়ির পাশের এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বাধা দেওয়ায় প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করছেন। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে এদিন বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও পুলিশ। দিনভর কোন সমাধান সূত্র না বের হওয়ায় স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে বাড়িতে ঢুকতেই দেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তবে বাড়ির সামনে সাংবাদিককে দেখে রীতিমতন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন অভিযুক্ত স্বামী আনসারুল মহম্মদ। তার বক্তব্য এটা পারিবারিক ব্যাপার, এখানে মিডিয়াকে আমি কোন কথা বলতে বাধ্য নই।”পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য নাজমুল হক বলেন, এর আগেও গোলমাল মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অন্য এক যুবতীর সঙ্গে অভিযুক্ত আনসারুলের সম্পর্ক নিয়ে আমরা সালিশি সভা করেছি, কিন্তু ফের পারিবারিক গোলমাল সৃষ্টি হয়। এদিন গার্হস্থ হিংসা প্রতিরোধ আইনে জেলা দপ্তরের সুরক্ষা আধিকারিক সুচেতা পাত্রর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা স্ত্রী। পাশাপাশি রায়গঞ্জ মহিলা থানা ও জেলা আদালতে ও মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা বধূ।