কালিয়াগঞ্জ: কালিয়াগঞ্জে পা রাখতেই দলীয় কর্মী ও নেতৃত্বদের ক্ষোভের সম্মুখীন হলেন হঠাৎ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। উঠল গো ব্যাক স্লোগান। বুধবার বিকেলে কালিয়াগঞ্জের ডাকবাংলো রোড সংলগ্ন বিজেপির নির্বাচনি কার্যালয়ে এসে পৌঁছান সৌমেন রায়। দলীয় কার্য্যকর্তারা ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন তাঁকে। কেন বিজেপি ছেড়েছিলেন? আবার কেন বিজেপিতে এলেন তা নিজস্ব যুক্তির মধ্য দিয়ে দলীয় কর্মী ও নেতৃত্বদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছিলেন সৌমেন। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বলয় নিয়ে নির্বাচনি কার্যালয় থেকে বিদায় নেওয়ার সময় বিজেপির দলীয় কর্মীরা ক্ষোভ উগড়ে সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।
উত্তর দিনাজপুর বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসে ক্ষোভ প্রশমিত করা হবে। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌমেন রায় অবশ্যই প্রচারে থাকবেন।’ রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী বলেন, ‘বিজেপিতে কোনও সংগঠন নেই। এরা হাওয়াতে ভোট করে। এদের নিজেদের মধ্যেই বনিবনা নেই। জন সমর্থনও নেই। তাই, কার্তিক পালকে বলির বখরা বানিয়ে এরা ভোট করতে নেমেছে। কিন্তু, জেলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গেই আছে।
কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় বলেন, ‘তৃণমূল শেখ শাহজাহানদের দল। আমার উপলব্ধি থেকে বুঝতে পেরেছি যে, কালিয়াগঞ্জের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস করতে চায় না। তৃণমূলে থেকে ভালো কাজ করা খুব কঠিন। আমি তৃণমূলে থাকতে আশিটা রাস্তা উদ্বোধন করেছি। উত্তর দিনাজপুর জেলায় নয়জন বিধায়ক রয়েছে। তারমধ্যে আমি একমাত্র বিধায়ক যে পথশ্রী প্রকল্প থেকে আশিটা রাস্তা করতে পেরেছি।