চাকুলিয়া: সম্প্রতি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পালের মন্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছিল জেলাজুড়ে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রাব্বানির ভাই গোলাম রুসুল। অন্য দল করলে ভোটের পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের চাকরি থাকবে না বলে তাঁর হুমকি।
বর্তমানে গোলাম রুসুল তৃণমূলের গোয়ালপোখর ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি। তিনি বিদায়ী জেলা পরিষদ সদস্য। তিনি এই জেলার ৮ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন। ভোটের মুখে তাঁর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সোমবার গোয়ালপোখর এলাকায় পামল হাটে তৃণমূলের নির্বাচনি প্রচার সভা ছিল। সেখানে তৃণমূলের অন্যান্য নেতার পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন গোলাম রুসুলও। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন। বলেন, ‘এলাকার বেশ কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার অন্য দল করছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি সিভিকদের চাকরি দিয়েছেন। এখন যাঁরা অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তাঁদের চাকরি থাকবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর বলেন, ‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। বুঝতে পেরে সিভিক নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি।’ তাঁর কথায়, ‘কোনও সরকারি প্রকল্প তৃণমূল কিংবা নেতাদের একার সম্পত্তি নয়। রাজ্যের জনগণের। তাঁর মন্তব্যের আমরা কড়া নিন্দা করছি।’
এদিকে, ভাইয়ের বেফাঁস মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রাব্বানি। তাঁর কথায়, ‘ব্লক সভাপতি হিসেবে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন। সিভিক ভলান্টিয়ার আধা সরকারি কর্মচারী। তাঁরা কেনই বা দল করবে? তাঁদের কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা কাম্য নয়। নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।’