শিলিগুড়ি: এযেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে চার চাকার পিছু ধাওয়া করে বিহারের (Bihar) আরারিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ সোনার বিস্কুট (Gold Biscuits Seized) সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা। ধৃতরা হল হরিয়ানার বাসিন্দা মনজিৎ ও অনকিত। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৭০টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার মোট ওজন ১১ কেজি ৬২০ গ্রাম। বাজেয়াপ্ত করার সোনার বিস্কুটের বাজার মূল্য ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
অভিযোগ, ইন্দো-মায়নমার সীমান্ত হয়ে ওই সোনা এদেশে নিয়ে আসা হয়। মণিপুর (Manipur) হয়ে সেই সোনা সড়কপথে শিলিগুড়ির ওপর দিয়ে গুরুগ্রামে পাচারের ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু সোনার বিস্কুট পাচারের খবর গোয়েন্দাদের কাছে পৌঁছে যায়। সেইমতো, কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের শিলিগুড়ি আঞ্চলিক শাখা এবং দিল্লির জোনাল শাখার আধিকারিকরা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে শিলিগুড়ির আশপাশে ছড়িয়ে পড়েন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্ত একটি গাড়িতে করে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড হয়ে ফুলবাড়ির দিকে যাচ্ছিল। গোয়েন্দারা সন্দেহভাজন গাড়িটিকে আসতে দেখে সেটিকে থামাতে বলে। কিন্তু গাড়িটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে গোয়েন্দারা তিনটি আলাদা গাড়ি নিয়ে অভিযুক্তদের গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে। ফুলবাড়ি-ঘোষপুকুর হয়ে গাড়িটি পালাতে থাকে। গাড়িটি ইসলামপুর, কিশানগঞ্জ, ডালখোলা, পুর্ণিয়া, আরারিয়া হয়ে ফোরবেশগঞ্জের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। ১৮৫ কিলোমিটার পিছু ধাওয়া করে অবশেষে আরারিয়ার নরপতগঞ্জে গোয়ান্দারা অভিযুক্তদের গাড়ি সহ ধরে ফেলে। অভিযুক্তদের শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হয়। আটক করা গাড়িটি থেকে ওই সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। এরপরই দুজনকে গ্রেপ্তার (Arrest) করা হয়। যেই গাড়িতে করে সোনা পাচার করা হচ্ছিল সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের এদিন শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেলা হেপাজতের নির্দেশ দেন।