দিনহাটা: কয়েক মাস ধরে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশের দামি গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। গাছের শেকড়ও তুলে ফেলা হচ্ছে। দিনহাটা-২ (Dinhata) ব্লকের কিশমত দশাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। গ্রাম পঞ্চায়েত টিয়াদহ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কদমতলা রোডের দুই পাশের বেশ কিছু গাছ ইতিমধ্যেই চুরি হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাছ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশপ্রেমীরা। যদিও বিষয়টি জানা নেই বলে কিশমত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপচন্দ্র দাস জানিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, সরেজমিনে খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ বছর আগে কিশামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কদমতলা রোডের দু’পাশে সরকারি জমিতে সরকারি উদ্যোগে শিমুল, শিশু, সেগুন, ইউক্যালিপ্টাস সহ বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ লাগানো হয়। দেখভালের কথা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে গাছগুলি যথেষ্ট পরিণত। ফলে গাছগুলির দামও বেশ চড়া। তাই নজর পড়েছে দুর্বৃত্তদের। অভিযোগ, প্রায়ই রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যাচ্ছে গাছ। কারা চুরি করছে সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে চান না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার রাজনৈতিক নেতার ও প্রশাসনের মদতেই কিছু মানুষ গাছ চুরি করতে সাহস পাচ্ছে।
স্থানীয় অমল বর্মন বললেন, রাত বাড়লে এই সড়কে যাতায়াত প্রায় বন্ধই হয়ে যায়। আর সেই সুযোগে অপেক্ষাকৃত কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারেই সরকারি গাছ কেটে নেয় দুর্বৃত্তরা। চুরি রুখতে পথবসতি ও প্রহরার ব্যবস্থা করা দরকার।
এলাকার পড়ুয়া সুদীপ বর্মনের কথায়, প্রায়ই গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। কাটা ডাল দেখে চুরির ঘটনা জানা যায়। কিন্তু তখন কিছু করার থাকে না।
স্থানীয় তরুণ কাঞ্চন বর্মনের কথায়, সাধারণ মানুষ জ্বালানির জন্য গাছের শুকনো ডাল কাটলে অনেক সময় ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। অথচ প্রায় রাতেই চুরি হচ্ছে গাছ। যারা গাছ চুরি করছে তাদের ধরুক পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিত্যযাত্রী অবশ্য আঙুল তুললেন প্রশাসনের দিকে। তাঁর অভিযোগও মূলত চুরি হচ্ছে সেগুন গাছ। প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের একাংশে মদত ছাড়া গাছ চুরি হতে পারে না। প্রশাসন যখন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তখন স্থানীয় মানুষের প্রতিরোধ দরকার।