উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদীয় গণতন্ত্রে বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল তামিলনাড়ু। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে দিলেন রাজ্যপাল। যদিও রাজ্যপাল একক ভাবে কখনই কোনও মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারে না বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল। তবে এই পদক্ষেপে দেশজুড়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
সম্প্রতি রাজ্যপালের পদ নিয়ে সারা দেশেই বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে একাধিক বিরোধী দল। অভিযোগ রাজ্যপালদের বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে সমস্যায় ফেলতে কার্যত কেন্দ্রের শাসক দলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে রাজ্যপালরা। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে জগদীশ ধনকড়ের ভূমিকা নিয়ে একসময় একই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। পরে সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়েও অধুনা সরব হয়েছে দল। একই ভাবে রাজ্যপালের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ু সরকারের। কেরল সরকারও বিভিন্ন সময় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তবে এমন পরিস্থিতি কার্যত নজিরবিহীন।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে মন্ত্রী সেন্থিল বালাজিকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল আরএন রবি। সেন্থিলকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে রাজভবন থেকে জারি করা প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেন্থিল বালাজির বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্ত চলছে। উনি এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। এরপরেও মন্ত্রিসভায় থেকে গেলে তদন্তে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই তাঁকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে এখনই বরখাস্ত করা হল। তবে রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হলেও তাঁর সমস্ত ক্ষমতাই আলঙ্কারিক। মন্ত্রীসভার পরামর্শ মেনে চলতে তিনি বাধ্য। তাঁর আলাদা করে কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই। কোনও মুখ্যমন্ত্রী যতক্ষন সুপারিশ না করছেন ততক্ষন কোনও মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার অধিকার তাঁর নেই। সব জানা সত্ত্বেও রাজ্যপাল আরএন রবি কি করে কোনও মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।