দিনহাটা: মাসখানেক আগেই পিঠে কাণ্ড নিয়ে সন্দেশখালির মতো হইচই শুরু হয়েছিল দিনহাটার (Dinhata) রাজনীতিতেও। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ তুলেছিলেন যে মহিলা, চাপে পড়ে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন তিনি। বুধবার তাঁকে ঘরে ফেরালেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
দিনহাটা-২ ব্লকের বুড়িরহাটের বাসিন্দা সেই মহিলা এতদিন শাসকদলের নেতা-কর্মীদের ভয়ে ঘরে ফিরতে পারেননি বলে অভিযোগ। এদিন ওই মহিলাকে বাড়িতে ঢোকানোর পর সাহেবগঞ্জ থানার ওসিকে তাঁর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।
সিভি আনন্দ এদিন সন্ধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘সমস্যা থাকলে তার সমাধানও আছে। পুলিশ সুপারকেও বলব যাতে ওই মহিলার নিরাপত্তা দেওয়া হয়।’ বিজেপির কোচবিহার জেলা মহিলা সভানেত্রী অর্পিতা নারায়ণ বলেন, ‘তৃণমূলের অত্যাচারে ওই মহিলা বাড়িছাড়া ছিলেন। রাজ্যপাল এই উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুশি।’
পিঠে কাণ্ড নিয়ে গোটা সন্দেশখালি তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। এরইমধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলা বিজেপি কর্মীর বক্তব্য ভাইরাল হয়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। সেখানে ওই মহিলা উদয়ন গুহ, বিশু ধর, দীপক ভট্টাচার্যর মতো তৃণমূল নেতাদের নাম করে করে বলেছেন, গুন্ডাবাহিনী রাতে তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে নেতার বাড়িতে যেতে বলেছিল পিঠে তৈরির জন্য। না গেলে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ওই মহিলার বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুরের ঘটনায় সাহেবগঞ্জ থানায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
উদয়ন নিজে ওই মহিলার বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকেও এক্স হ্যান্ডেলে ওই মহিলার বক্তব্য তুলে ধরা হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী বাড়িছাড়া হন। গত এক মাস ধরে তিনি বাড়ি ফিরতে পারেননি।
অবশেষে এদিন বাড়ি ফিরে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন সেই মহিলা। বললেন, ‘বাড়িতে পা রেখে ভালো লাগছে।’ যদিও তৃণমূল নেতা বিশু ধর এসব সাজানো ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।