চোপড়াঃ দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের পর নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধায়কের বিরুদ্ধে কমিশন আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসনকে। তবে কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হয়েছে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার হয়ে চোপড়া বিধানসভা এলাকায় প্রচারে গিয়ে ভোটার ও বিরোধীদের উদ্দেশ্যে একপ্রকার হুমকির সুরেই বক্তব্য রেখেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। সেই বিতর্ক ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। এর পরই নির্বাচনি বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে বিধায়কের বিরুদ্ধে কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হামিদুলকে শো-কজ করে কমিশন। এবং সেখানে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে শোকজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে খবর, কমিশনের পাঠানো চিঠির জবাব দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক। মনে করা হচ্ছে সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় হামিদুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এ প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বিধায়ক হামিদুল রহমানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল মাঝিয়ালির চুয়াগাড়িতে এক নির্বাচনি প্রচার সভায় বিরোধী সহ ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের বিরুদ্ধে। আর এই হুমকি মূলক ভাষণে বিপাকে পড়েন বিধায়ক। বিধায়কের ভাষণের একটি ভিডিও ফুটেজ নিজের এক্স টুইটারে পোস্ট করে ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে উপযুক্ত পদক্ষেপ দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে কমিশনের পরবর্তী নির্দেশ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে হামিদুল অবশ্য বলেন, এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। এদিকে বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।