শিলিগুড়ি: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন আমবাড়ির হরিহর হাই স্কুলের শিক্ষিকা অনামিকা রায়। মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি ববিতা সরকারের হাত ঘুরে এসেছে অনামিকার কাছে। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে সেই চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন শিলিগুড়ির দুধমোড়ের বাসিন্দা অনামিকা রায়।
অনেক লড়াইয়ের পর শিক্ষকতার চাকরিটা পেয়েছেন অনামিকা। তাঁর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও হাইকোর্টের নির্দেশে সেই চাকরিটা হারাতে বসেছেন। এই বিষয়টি এখনও মেনে নিতে পারছেন না শিলিগুড়ির দুধমোড় এলাকার এই বাসিন্দা। এদিন অনামিকা বলেন, ‘সোমবার, মঙ্গলবার শুধু মোবাইল ঘেঁটে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম যোগ্যদের কিছু একটা হবে। কিন্তু এখনও আমরা চাকরিহারা। এখন গরমের ছুটি। তারপর কি হবে জানি না। এটা কিন্তু হতাশার জায়গা। যোগ্য হয়েও অযোগ্যদের মতই হয়ে রয়েছি।’ অনামিকার কথায়, ‘ভেবেছিলাম রাজ্য সরকার যোগ্য প্রার্থীদের পাশে থাকবে। কিন্তু দেখলাম, সরকার কিন্তু যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে কোনও সওয়াল করেনি। তারা বলেছে কমিশন যেটা বলবে সেটাই হবে।’
গতমাসের ২২ তারিখ হাইকোর্টের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছিল বাংলায়। সেদিন স্কুলে যাওয়ার পথে বাসে বসেই এই দুঃসংবাদটা জানতে পেরেছিলেন অনামিকা। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁকে জানিয়েছেন, স্কুল শিক্ষা দপ্তর যতক্ষন পর্যন্ত না কোনও নির্দেশ দেবে ততদিন পর্যন্ত তিনি যেন স্কুলে আসেন।