উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। তার আগেই ভগবান হনুমানের জন্মস্থান কিষ্কিন্ধা (বর্তমান কর্ণাটকের হাম্পি) থেকে একটি রথ গিয়ে পৌঁছোল অযোধ্যায়। বিভিন্ন স্থানের মন্দির পরিক্রমা করে রথটি অযোধ্যায় আসার আগে সীতার জন্মস্থান বর্তমান নেপালের জনকপুরেও গিয়েছিল। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে, ভগবান রামের ছবি নিয়ে গান ও নাচ করতে করতে ১০০ ভক্তের (Devotees) একটি দল এই রথের সঙ্গে অযোধ্যায় এসে পৌঁছয়।
শ্রী হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, “হাজার হাজার মানুষ যখন রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে অযোধ্যায় যাচ্ছেন, তাহলে ভগবান হনুমান কেন যাবেন না? আমরা এই রথযাত্রার জন্য গত দু’মাস আগেই বেরিয়ে পড়েছি ও বেশ কয়েকটি স্থান পরিক্রমাও করেছি। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই রথ অযোধ্যায় থাকবে। আমরা কিষ্কিন্ধা (Kishkindha) থেকে এখানে এসেছি শ্রীরামকে সেবা দেওয়ার জন্য। রথটিতে রামের একটি মূর্তি রয়েছে যেখানে তিনি হনুমানকে আলিঙ্গন করছেন। যিনি শ্রীরামের সবচেয়ে বড় ভক্ত বলে মনে করা হয়।” তবে এই রথে শ্রীরাম ও হনুমান ছাড়াও সীতা, লক্ষ্মণ,বিরূপাক্ষ এবং ভগবান হনুমানের মা অঞ্জনির মূর্তিও রয়েছে।
৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিশাল আকৃতির এই রথটি দেখতে সোনালী (Golden) রঙের মন্দিরের মতো। রথটির একদিকে যাত্রা শুরুর দিন থেকে পরিদর্শন করা বিভিন্ন স্থানের ছবি রয়েছে। অযোধ্যা পরিভ্রমণের পর রথটি সরযূ নদীর তীরে ভক্তদের দর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।
কর্ণাটকের হাম্পিতে (কিষ্কিন্ধা) অবস্থিত এই হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট আগামী ছয় বছরে আনুমানিক ১,২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভগবান হনুমানের ২১৫ মিটারের মূর্তি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। কিষ্কিন্ধা ইউনেস্কোর (UNESCO) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (World Heritage Site) হাম্পির উপকণ্ঠে অবস্থত বলে মনে করা হয়। কিষ্কিন্ধা সহ কর্ণাটকের তিনটি স্থানের রামায়ণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। প্রসঙ্গত, উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে অযোধ্যা। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।