সামসী: পঞ্চায়েত সমিতির দুই মহিলা কর্মাধ্যক্ষকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে এই অভিযোগে স্টেশন ম্যানেজারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্য। খবর পেয়ে সামসী পুলিশ ফাঁড়ি ও রতুয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী সামসী বিদ্যুৎ দপ্তরে পৌঁছায়। রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দশ মাস আগে রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তথা চাঁদমুনির বাসিন্দা সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হুকিং করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে সফিকুল ইসলামকে কুড়ি হাজার টাকা ফাইন করেন স্টেশন ম্যানেজার শৌভিক সরকার। সফিকুল ইসলাম সেই টাকা জমা করে দেন। কিন্তু এরপর ২ ফেব্রুয়ারি সামসী বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে ফের পুরোনো হুকিং কেসে কুড়ি হাজার টাকা ফাইনের নোটিশ পান সফিকুল।
এনিয়ে সোমবার বিকেলে সফিকুল ইসলাম আরও কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি জানতে এসেছিলেন এসএমের কাছে। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ রুকসানা খাতুন, ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ ফতেমা খাতুন সহ আরও কয়েকজন সদস্য। সফিকুল ইসলামের অভিযোগ, ফাইনের বিষয়টি নিয়ে জানাতে গেলে এসএম মেজাজ দেখিয়ে তাদের বলেন, তিনি ফাইন করে ঠিকই করেছেন। তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে সরবেন না। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসএম দুই মহিলা কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁদের শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। এরপর দুই মহিলা কর্মাধ্যক্ষ এসএমের দপ্তরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে সামসী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। যদিও এব্যাপারে সামসী বিদ্যুৎ দপ্তরের এসএম সৌভিক সরকার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।