হরিশ্চন্দ্রপুর: অতিরিক্ত পণের দাবিতে গৃহবধূর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালাল স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন! বিবস্ত্র করে হাত-পা বেঁধে চলল মারধর! ছুরি দিয়ে কোপানো হল মুখ ও শরীরের একাধিক জায়গায়! ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছেন সকলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
রবিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন সাদলিচক-আড়োলপুর গ্রামে। সোমবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই গৃহবধূর পরিবার। স্বামী আবুজার হোসেন, শাশুড়ি নুরেফা বিবি ও দুই দেওর উমর ফারুক ও বাদিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা।
ছয় বছর আগে যোগীলাল গ্রামের বাসিন্দা আশিয়া খাতুনের বিয়ে হয় নতুন সাদলিচক গ্রামের আবুজার হোসেনের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের দুই বছর পর থেকেই পণের দাবিতে ওই বধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনার কথা মাকে জানিয়েছিলেন আশিয়া। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভায় বসেছে দুই পরিবার। তবে তাতেও লাভ হয়নি। রবিবার বধূর ওপর অত্যাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। অভিযোগ, সেদিন রাতে আশিয়ার হাত-পা বেঁধে বিবস্ত্র করে মারধর করে স্বামী ও দুই দেওর। এমনকি, ছুরি দিয়ে বধূর মুখ ও শরীরে আঘাত করা হয়। নৃশংস অত্যাচারে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে বধূকে রাতেই বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়ে আসে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে সকালে আসে মেয়ের পরিবার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আশিয়াকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই গৃহবধূ। ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গৃহবধূর মা হালেমা বিবি।