হরিশ্চন্দ্রপুর: হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের (Harishchandrapur) মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশুয়া দাস। বছর ৬৬টির এই বৃদ্ধ ১৫ বছর আগে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। স্ত্রী কুশমি দাস কোনওরকমে লোকের বাড়ি কাজ করে সংসার চালান। এখন বয়সের কারণে তাও পারেননা তিনি। ফলে কার্যত অসহায় পরিবারটি। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, এক ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ে।
এই মুহূর্তে অভাবের অন্ধকার ব্যাপক ভাবে গ্রাস করেছে বিশুয়া দাসের পরিবারকে। অর্থাভাব, খাদ্যাভাব এমনকি থাকার জায়গাটুকুও ঠিক নেই। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর থেকে আর দেওয়াল নেই। পাটকাঠির বেড়া এবং পলিথিন দিয়ে কোনভাবে থাকছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) ঘরের জন্য আবেদন করেও মেলেনি। বিশুয়াবাবু বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সার্টিফিকেটের জন্য বারবার আবেদন করেছেন। অভিযোগ, ৩ হাজার টাকা দিতে না পারায় সেই সার্টিফিকেট মেলেনি। এথন বাজার শেষে পড়ে থাকা পচা শাক সবজি কুড়িয়ে এনে রান্না করে কোনওমতে পেট ভরান। বিশুয়া দাস জানান, খুবই কষ্টে সংসার চলছে।
বিশুয়া দাসের স্ত্রী কুশমি দাস জানান, ঘর থেকে বার্ধ্যক্যভাতা কিছুই পাইনি। জেলা পরিষদের সদস্য মর্জিনা খাতুন জানান, অবিলম্বে যাতে সমস্যার সমাধান হয় সে বিষয়ে তৎপর হবেন। বিডিও (BDO) সৌমেন মণ্ডলও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।