হরিশ্চন্দ্রপুর: দলীয় কর্মী ও নেতৃত্বের উপর তৃণমূলের (TMC) হামলার অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। থানা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা (Harishchandrapur) চত্বর। যদিও অশান্তি রুখতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
দু’দিন আগে স্থানীয় পিপলা গ্রামে শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য মন্দিরা দাস, তাঁর স্বামী পূজন দাস ও তাঁদের দলবলের বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকার বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক কমল থোকদারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। এই হামলায় আহত হন ওই নেতার মা সহ পরিবারের সদস্যরা। পরদিন এলাকার অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের বাড়িতেও একই কায়দায় ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে পূজন ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। তারই প্রতিবাদে এদিন উত্তর মালদার বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু শাসকদলের অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করেন। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে এদিন বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পুলিশি নিরাপত্তা অটুট থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
থানার সামনে রাস্তায় বসে খগেন বলেন, ‘হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। উর্দি পরে তাঁরা শাসকদলের কথায় ওঠবস করছে। লাগাতার দু’দিন তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর হাতে আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সাহেব দাস, দুর্জয় দাস ও পূজন দাস বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ নির্বিকার। আমরা অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা গ্রেপ্তার না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’
খগেন আরও বলেন, ‘সামনের লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। আমাদের কর্মীরা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর হাতে মাঝেমধ্যেই এভাবে নিগৃহীত হচ্ছেন।’
এদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ওরা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। বিজেপি কর্মীরাই আমাদের কর্মীর বাড়িতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। ওই গ্রামে গত ১০ বছর ধরে তৃণমূল জয়লাভ করছে। এখন সামনে ভোট। বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই এসব অভিযোগ করছে। আমরা ওদের বেশ কয়েকজন কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ করেছি। তাই এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।’