উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শনিবার দিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এদিন বিকেলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বাইডেনের সঙ্গে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হলেও হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে আলোচনায় উঠে এসেছে চিনের আগ্রাসী মনোভাব, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এদিন মোদির সঙ্গে কোনও কথাই হয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির। এদিন হাসিনা মোদির বাসভবনে পৌঁছলে বাড়ির দরজায় এসে হাসিমুখে স্বাগত জানান মোদি। উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ দু’দেশের কর্তারা। ছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মোমেন। দু’দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছ ভারত। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব রিসার্চ এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিলের মধ্যে মউ স্বাক্ষর হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে ‘রুপে কার্ড’ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে সই হয়েছে। এদিন দেড় ঘন্টার বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপ ও চাপের কথা যেমন তুললেন হাসিনা, সেই সঙ্গে মোদিকে আশ্বস্ত করলেন— চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাণিজ্যিক ও আর্থিক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ কথাও মোদিকে জানিয়েছেন যে, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একান্তই বাণিজ্যিক। ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই যে বাংলাদেশ চিনের দিকে চলে গিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গী হিসাবে বাংলাদেশের রক্তের বন্ধন ভারতের সঙ্গে। তা অটুট থাকবে। পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস এবং মৈত্রীর প্রতিফলন ঘটেছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে নিজের এক্স হ্যান্ডলে মোদী বাংলায় লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘আমাদের আলোচনায় বাণিজ্যিক সংযোগ, সার্বিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।” পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস এবং মৈত্রীর প্রতিফলন ঘটেছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায়।