নয়াদিল্লি: যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি প্রকাশ্যে আনল কেন্দ্রীয় সরকার৷ বুধবার লোকসভা সচিবালয় সূত্রে প্রকাশিত বুলেটিনে জানা গেছে, ‘সংসদীয় অভিযাত্রার ৭৫ বছর: সংবিধান সভা থেকে মোদী জমানায় সাফল্য, অভিজ্ঞতা, স্মৃতি এবং শিক্ষা’ শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি। একইসাথে আগস্ট মাসে রাজ্যসভায় পাস হওয়া ‘আইনজীবী সংশোধনী বিল’ এবং ‘প্রেস রেজিষ্ট্রেশন অফ পিরিওডিকাল বিল’ দুটি লোকসভায় আলোচনা এবং সর্বসম্মতভাবে পাস করাতে মনস্থ হয়েছে সরকার পক্ষ৷ পাশাপাশি সংসদীয় কমিটির মুখ না দেখতে পাওয়া দুটি বিল ‘পোস্ট অফিস বিল’ এবং ‘চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বিল’ যথারীতি রাজ্যসভায় প্রতিস্থাপিত হবে পাশ করার জন্য, পরে তা পেশ করা হবে লোকসভাতেও৷
উল্লেখ্য, জি-২০ এর সাফল্যের পর নিজেদের গুণপনা সংসদীয় বৃত্তে তুলে ধরবার তাগিদেই ‘৭৫ বছরের সংসদীয় অভিযাত্রা’ নিয়ে বিশেষ আলোচনায় আগ্রহী মোদী সরকার৷ বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে সংসদীয় আলোচ্যসূচি হাতে পাওয়া মাত্র সংসদীয় রণকৌশলে বদল আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধী শিবির, যেখানে মোদী সরকারের জমানায় নীতি পঙ্গুতার বিরুদ্ধে পূর্বতন সরকারগুলি, নেহেরু থেকে ইন্দিরা অথবা রাজীব থেকে বাজপেয়ী পর্যন্ত রাজনৈতিক দৃষ্টিকোনে সাফল্য এবং শিক্ষণীয় বিধানের কথা তুলে ধরে সংসদীয় পরিসরে মোদী সরকারকে বিঁধতে উদ্যোগী হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা। তবে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ বা ‘ইন্ডিয়া’র নাম পালটে ‘ভারত’ রাখার অভিসন্ধিতে বিশেষ বিল প্রনয়নের যে জল্পনা ছড়িয়েছিল বিরোধী শিবিরে, এদিন তা নস্যাৎ করে দিয়েছে সরকারপক্ষ। একইসাথে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর তরফে আনা ৯ দফা দাবি-দাওয়ার প্রসঙ্গও এর সাথেই খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবে এই ভিন্নধারার আলোচনা এবং চারটি বিল সংসদীয় পরিসরে উত্থাপনের নেপথ্যে অন্য কী কূট কৌশল রয়েছে সরকার পক্ষের, সেদিকেই নজর রাখছে তামাম বিরোধী শিবির।