বালুরঘাট: সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন বালুরঘাটের এক প্রধান শিক্ষক। হ্যাকারদের ফাঁদে পড়ে খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকা। গুগল থেকে পোস্ট অফিসের ট্র্যাকিং সাইট খুঁজতেই এই বিপত্তি ঘটে। শনিবার টাকা ফিরে পেতে অবশেষে বালুঘাটে অবস্থিত দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলেন তিনি।
ক্রমশ বাড়ছে সাইবার প্রতারণা। বিশেষ করে আর্থিক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। প্রতারকদের মূল লক্ষ্য থাকছে বয়স্কদের উপর। মূলত ৬০ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিরা প্রতারকদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। কখনও কেওয়াইসির নাম করে, কখনও গ্যাস বুকিং, আবার কখনও আধার লিংক সহ বিভিন্ন উপায়ে সাধারণ মানুষদের বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক অসাধু চক্র। কখনও বয়স্করা অজান্তেই প্রতারকদের হাতে ওটিপি তুলে দিচ্ছেন ফলে খোয়া যাচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু এক্ষেত্রে গল্পটা অন্যরকম। রঘুনাথপুর বিএম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্নেহাশীষ তপস্বী। তিনি বালুরঘাট পোস্ট অফিসের মূল ব্রাঞ্চ থেকে বিকাশ ভবনে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠির বর্তমান অবস্থান দেখতে শুক্রবার গুগলে পোস্ট অফিসের ট্র্যাকিং সাইটের জন্য সার্চ করেন। তখনই একটি ভুয়ো ওয়েবসাইটে তিনি চলে যান। সেখান থেকে তার মোবাইলে একটি লিংক পাঠিয়ে ট্র্যাকিং অ্যাপ ডাউনলোড করার কথা বলা হয়। তিনি লিংকে গিয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করেন। সেখানে তাঁকে বলা হয় চিঠির অবস্থান জানতে পেনাল্টি বাবদ ৫ টাকা পাঠাতে হবে। তার দুটো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা পাঠানোর চেষ্টা করতেই লক্ষাধিক টাকা গায়েব হয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষক স্নেহাশীষবাবু শনিবার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, ‘পেনাল্টি চার্জ হিসেবে পাঁচ টাকা চাওয়া হয়। আমার দুটো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সেটা পাঠানোর চেষ্টা করি। পরে চিঠির ব্যাপারে খোঁজ নিলে বলা হয় সেটি পৌঁছে যাবে। ফোন রাখার পরেই একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার ও আরেকটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা, আবার দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ হাজার টাকায় কেটে নেয় হ্যাকাররা।‘