চালসা: পুজোয় সরকারি কর্মচারীদের টানা ১২ দিন ছুটি। ডুয়ার্সে ভালো ব্যবসার আশায় বুক বেঁধেছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন পর্যটন ব্যবসায়ী ও সংগঠনের থেকে পাওয়া তথ্য বলছে এবার পর্যটকদের ঢল নামবে ডুয়ার্সে। পুজো উপলক্ষ্যে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে।
করোনা প্রভাব কাটিয়ে গত বছর থেকেই ধীরে ধীরে পুজোয় স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়েছিল ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা। তবে চলতি বছর ভালো ব্যবসার আশায় ডুয়ার্সের পর্যটন মহল। অনন্ত গরুমারাকে কেন্দ্র করে ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের মুখে চওড়া হাসি। তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে ফের খুলে গেছে গরুমারার প্রবেশদ্বার। ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ী মহল সূত্রে খবর, জঙ্গল খোলার পর থেকেই কমবেশি পর্যটকদের ভিড় রয়েছে ডুয়ার্সে। তারপর থেকে কম বেশি বুকিং রয়েছে সবকটি রিসোর্টে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পুজোর সময় টানা ১২ দিন ছুটি পাচ্ছেন। আর সেই কারণেই বহু দক্ষিণবঙ্গের পর্যটক ছুটি উপভোগ করতে ছুটে আসছেন ডুয়ার্সে বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তার উপরে এবার গরুমারায় শুরু হয়েছে হাতি সাফারি। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের মূর্তি, ধূপঝোরা, চালসা, মঙ্গলবাড়ী, বিধাননগর এলাকার বিভিন্ন রিসর্টে ইতিমধ্যে পুজোর বুকিং শুরু হয়ে গেছে।
রিসর্ট মালিকদের সংগঠন গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সোনা সরকার জানান, পুজোর বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য কয়েক বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা ভালো হবে বলে আমাদের আশা। সংগঠনের সভাপতি তজমল হক জানান, অন্যবারের তুলনায় পুজোর বুকিং এবার অনেকটাই ভালো। তার পাশাপাশি পুজোর আগে রেল দপ্তর থেকে পুজো স্পেশাল ট্রেনও দেবে নিশ্চয়ই। কিছু রুম এখনও খালি রয়েছে আশা করা যায় সেগুলোও ভর্তি হয়ে যাবে পুজোর মরশুম আসতে আসতে। আশা করছি এবার পুজোয় ভালোই ব্যবসা হবে।