উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় সংগীত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে লালবাজার। সেই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি বিধায়করা। তাতে আপাতত বিজেপি বিধায়কদের গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে মৌখিক রক্ষাকবচ দিয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ।
এদিনের শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী বলেন, ‘জাতীয় সংগীত গাওয়ার আগে কোনও ঘোষণা হয়নি। কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ আদালতের মধ্যে কেউ জাতীয় সংগীত গেয়ে উঠলে অবমাননার অভিযোগ আনা যায় কি? বিজেপি বিধায়করা আগে থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। জাতীয় সংগীত শুরুর পর স্লোগান দেওয়া শুরু করেননি। তখন বিধানসভার অধিবেশনও চলছিল না।’
বিচারপতিও বলেন, ‘ঘোষণা না করে জাতীয় সংগীত গাওয়া হলে অবমাননার অভিযোগ আনা যায় কি? এক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা জাতীয় সংগীত শুনতে পেয়েছিলেন তা প্রমাণ হবে কী করে?’ সরকারি আইনজীবী এক্ষেত্রে সংবিধান কী বলে তা খতিয়ে দেখতে আর্জি জানান। এরপরই মৌখিক ভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির জন্য উঠে যান বিচারপতি।
রাজ্যে অমিত শায়ের সভার দিন বিধানসভায় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসে তৃণমূল। যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগাম কোনও কর্মসূচি ছাড়াই সেই সময় বিধানসভায় চলে আসেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করাও। শুরু হয় তুমুল স্লোগান পালটা স্লোগান। তৃণমূল একদিকে ‘মোদি-শা চোর’ বলে স্লোগান দিলে শুভেন্দুও ‘মমতা চোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপরই ধর্না শেষ করে জাতীয় সংগীত গাওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করেন তৃণমূলের সকলে। অভিযোগ, তখনও স্লোগান দিচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। এর পরই স্পিকারের কাছে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন ৩ মন্ত্রী।