দীপেন রায় ও নীলাংশু চক্রবর্তী, মেখলিগঞ্জ: ভাইয়ের জায়গায় কি এবার দিদি? মেখলিগঞ্জের রাজনীতির ময়দানে এটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেখলিগঞ্জ ব্লকের রাজনীতিতে পরেশচন্দ্র অধিকারী এক বর্ণময় চরিত্র। বাম আমল হোক কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস, তিনি মন্ত্রী হয়েছেন। পরেশচন্দ্র অধিকারীর ছেলে হীরকজ্যোতি অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তৃণমূলের একজন যুবনেতা হিসেবে মেখলিগঞ্জ ব্লকে কাজ করেছিলেন। কয়েকদিন আগেই পরলোকগমন করেন হীরকজ্যোতি। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই স্থানীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন তিনি। পিতৃপরিচয় থাকা সত্ত্বেও নিজগুণেও পরিস্ফূট হয়ে উঠতে সময় নেননি।
হীরকের অকালমৃত্যুতে মেখলিগঞ্জের রাজনীতিতে শূন্যতার সৃষ্টি হলেও আরেকটি বিষয় হঠাৎই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মেখলিগঞ্জ ব্লকের নেতাদের সঙ্গে পরেশ কন্যা অঙ্কিতার মিলিত হওয়া ও সেই ছবি মেখলিগঞ্জের তৃণমূল যুব সভাপতি জ্যোতিষ রায়ের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মূহুর্তে ভাইরাল হওয়া সবাইকে অন্যরকম ভাবাচ্ছে। অঙ্কিতা ওরফে মিমি কি এবারে রাজনৈতিক ময়দানে? তবে ফোন না তোলায় এবিষয়ে অঙ্কিতার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এবিষয়ে জ্যোতিষ রায়ের বক্তব্য, ‘আমরা চাই অঙ্কিতাদিদি রাজনীতিতে আসুন। সাধারণ মানুষও সেটাই চাইছে।’
চাকরি বিতর্ক অঙ্কিতাকে কম সমস্যায় ফেলেনি। মেয়ের পাশাপাশি বাবাও এনিয়ে সমান সমস্যায় পড়েন। দু’জনই এই সমস্যা থেকে বের হতে জোরদার চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে সেসবই এখন অতীত। অঙ্কিতা তাদের শিবিরে ভিড়ুন, সেটা ঘাসফুল শিবির প্রচণ্ডভাবে চাইছে। সেদিনের চা চক্রে উপস্থিত দলীয় এক নেতার বক্তব্য, ‘পরেশবাবুর পাশে হীরক ছিলেন। আমরা চাই এখন অঙ্কিতা পরেশবাবুর পাশে থাকুন। আমরা অঙ্কিতাদিদিকে এই প্রস্তাব দিয়েছি। উনি কিন্তু প্রস্তাব ফিরিয়ে দেননি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে কিছুদিন সময় চেয়েছেন।’