ঘোকসাডাঙ্গা: বিয়ের তিনমাস হতে না হতেই গৃহবধূকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। মাথাভাঙ্গা ২-এর রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। অর্পিতা দাস নামে ওই গৃহবধূ জানান, তাঁর সঙ্গে ওই গ্রামেরই তন্ময় দাসের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আগে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এমনকি বিয়ের আগে ওষুধ খেয়ে অর্পিতাকে ভ্রুণ নষ্ট করতেও চাপ দেওয়া হয়। এরপর তন্ময় অন্যত্র বিয়ে করার চেষ্টা করেন। সেইসময় অর্পিতা স্থানীয় গ্রামের নেতা-মাতব্বরদের বিষয়টি জানালে গ্রামে সালিশি সভার পর তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। প্রায় প্রতিদিনই মারধর, কখনও অর্ধাহারে, কখনও গৃহবন্দি করে রেখে অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ।সবকিছু সহ্য করেও সংসার করছিলেন ওই গৃহবধূ। বৃহস্পতিবারও তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সহ এলাকার মহিলারা তাঁকে ফের নিয়ে গেলে তাঁদেরও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর ঘোকসাডাঙ্গা থানায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ। পুলিশ জানিয়েছে, বধূ নির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়েছে। মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।