নিশিগঞ্জ: কাউন জাতীয় খাদ্যশস্য দিয়ে তৈরি খাবার এখন স্থান পেতে পারে নামী রেস্টুরেন্টের মেনু বা বিত্তশালীর হেঁসেলে! এই আশাতে মঙ্গলবার কোচবিহার ১ এর সাতমাইলে জেলার বিভিন্ন মহিলা রন্ধনশিল্পীরা অভিনব প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন। তাঁরা রান্না করে দেখালেন কাউন জাতীয় খাদ্যশস্য দিয়ে কিভাবে রকমারি জিভে জল আনা পদ তৈরি করা যায়। আর সেসব খাবার খেয়ে অবাক হলেন কৃষি বিজ্ঞানি থেকে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক সহ বিশিষ্টজনেরা। সবার একটাই কথা, ‘এত স্বাদ কাউনের!’ এই কাউন চাল নাকি এককালে ছিল গরিবের খাবার। চাল বা গমের মতো এই দানায় শর্করা নেই। পুষ্টিবিদরা কাউন চালকে সুপারফুড হিসেবে পরামর্শ দেন। যার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ খুব সহজেই কাউন চালকে বেছে নেন।
ভারত সরকারের অনুরোধে জাতিসংঘ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তার অঙ্গ হিসাবে কাউন বা মিলেট জাতীয় খাদ্য তৈরির প্রতিযোগিতা এদিন অনুষ্ঠিত হয় সাতমাইল সতীশ ক্লাবে। আয়োজক কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ও উত্তরবঙ্গ কৃষি বিদ্যালয়। সেখানেই তৈরি হল কাউন জাতীয় খাদ্যশস্যের বিভিন্ন নিরামিষ ও আমিষ পদ। ছিল কাউনের বিভিন্ন পদ। যেমন- পোলাও, মিলেটের ধোকার ডালনা, ফ্রাইড রাইস, খিচুড়ি, মোয়া, নারু, চিকেন পোলাও, ছাতু, হালুয়া, পায়েস সহ বিভিন্ন রকমারি পদ। এদিন কৃষি বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, কোচবিহার জেলায় কাউন চাষের অনুকূল জলবায়ু রয়েছে।