হেমতাবাদ: পণের বকেয়া দেড় লক্ষ টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই মহিলা হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করল হেমতাবাদ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম গৌতম সরকার (২৬)। বাড়ি হেমতাবাদ থানার বাঙ্গালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দধিকোট বাড়ি এলাকায়। ধৃতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন অভিযুক্তকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত বামুহা গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা বিশ্বাসের সঙ্গে হেমতাবাদ থানার বাঙ্গাল বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দধিকোট বাড়ির বাসিন্দা গৌতম সরকারের ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পণে ৩ লক্ষ টাকা মেয়ের বাবার দেওয়ার কথা থাকলেও, দেড় লক্ষ টাকা বকেয়া রাখা হয়।। সেই টাকা এক বছরের মধ্যে শোধ করে দেওয়ার কথা ছিল। গত মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা ধার্য ছিল। সময় মতো সেই টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীকে দিয়ে বাপের বাড়িতে ফোন করায় অভিযুক্ত স্বামী, আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নেওয়ায় যাবতীয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। চলতি মাসের ১ তারিখে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামী ভিন রাজ্যে একটি হোটেলে কর্মরত। দিন কয়েক আগে বেঙ্গালুরু থেকে বাড়িতে এসেছে।। বকেয়া টাকার জন্য স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।