হেমতাবাদঃ পরপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করল স্বামী। বর্তমানে ওই নির্যাতিতা বধূ রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে, হেমতাবাদ থানার রনহাট্টা সংলগ্ন বলকুন্ডি গ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী এরশাদ আলীকে(Husband arrested)গ্রেপ্তার করেছে হেমতাবাদ থানার(Hemtabad Thana) পুলিশ। রবিবার ধৃতকে রায়গঞ্জ আদালতে(Raiganj Court) তোলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে সমসপুরের বাসিন্দা নাসরিন খাতুনের সঙ্গে হেমতাবাদ থানার রণহট্টা সংলগ্ন বলকুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ আলীর বিয়ে হয়। তাদের একটি দু বছরের ও একটি ১০ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। পরপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ায় যাবতীয় গন্ডগোলের সূত্রপাত। জখম বধূ নাসরিন খাতুনের অভিযোগ, পরপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই স্বামী তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। পরে খবর তিনি জানতে পারেন, সম্প্রতি এক যুবতীর সঙ্গে স্বামীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করলে গতকাল তাঁকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করার চেষ্টা করে। তাতেও মৃত্যু না হওয়ায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
এই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযুক্ত স্বামী এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে হেমতাবাদ থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এরশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।