রায়গঞ্জ: দাবি মত মেলেনি পণের (Dowry) টাকা। এর জেরে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা (Pregnancy) বধূর পেটে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রায়গঞ্জের ইটাহার থানার গোরাহার গ্রামে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা রায়গঞ্জ মহিলা থানায় তাঁর মেয়ের স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ভিত্তিতেই বুধবার শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন তাকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। তবে অভিযুক্ত স্বামী এখনও নিখোঁজ।
জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে শাহেদা বেগমের সঙ্গে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মনজুর আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই নববধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার (Torture) শুরু করে স্বামী ও শাশুড়ি। দাম্পত্য কলহ মেটাতে একাধিকবার সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। গতকাল ওই বধূকে এক লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার কথা বলে মনজুর। টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন স্ত্রী চরমে ওঠে বিবাদ। এরপরেই আচমকা স্ত্রীর পেটে লাথি মারে স্বামী। তাকে সাহায্য করে তার মা সোহেবা বেগম। এমনকি শাশুড়ি তাকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। বধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। নির্যাতিতার বাবা তাজিয়া শেখ জানান, ‘বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য আমার মেয়েকে মারধর করত জামাই ও তার মা। একবার ৫০ হাজার টাকা দেওয়াও হয়। কিন্তু ফের এক লক্ষ টাকার জন্য মেয়ের পেটে লাথি মেরে খুন করার চেষ্টা করে। আমার মেয়ে বাঁচবে কিনা জানিনা। মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’ এব্যাপারে পুলিশ সুপার মহন্মদ সানা আক্তার বলেন, ‘এই ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। অপর জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।’