রায়গঞ্জ: সাইবার ক্রাইম থানার আইসির সামনেই নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করল বধূ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত সাইবার ক্রাইম থানার আইসির ঘরের সামনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ মাস আগে সম্বন্ধ করে টুঙ্গীদিঘির সাধনপুরের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে ডালখোলার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় নিজের স্ত্রীর নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয় মৃত্যুঞ্জয়। এই ঘটনায় কর্ণজোড়ায় অবস্থিত সাইবার ক্রাইম থানায় এপ্রিল মাসে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এরপরউ মাকে সঙ্গে নিয়ে কর্ণজোড়ার সাইবার ক্রাইম থানায় যায় ওই মহিলা। সেইসময় আইসি ও অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করে বলে অভিযোগ। এরপরেই নিজের ব্যাগ থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে নিজের বাঁ হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই বধূ। তাঁর অভিযোগ, ‘পুলিশ টাকা খেয়ে মামলাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সাত মাস ধরে মামলা পড়ে রয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তাই আইসির সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।’ ওই মহিলা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেন বলে জানা গিয়েছে।
ওই বধূর মা বলেন, ‘করণদিঘি থানায় সাত মাস আগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। সেখানকার তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্ত ছেলে পক্ষের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে মামলাটিকে হালকা করার চেষ্টা করছে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।‘ জেলা পুলিশের ডিএসপি লিয়ং তামাং বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তারপরেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছি না। ঘটনার তদন্ত চলছে।‘ খবর লেখা পর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় আইসির ঘরে পড়ে রয়েছে বধূ। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে।