উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার তৃণমূলেও ‘বৃদ্ধতন্ত্র’ বিতর্ক। গতকাল নেতাজী ইন্ডোরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পুরনো প্রবীণ নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দেওয়ার ২৪ ঘন্টা পরই দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দেহত্যাগ না করলে পদত্যাগ নয়, এ কেমন কথা!’ কুণাল জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুল বুঝিয়ে পদে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক প্রবীণ নেতা। যদিও তিনি কোনও নেতার নম করেন নি। তবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়দের নিশানা করেই একথা বলেছেন কুণাল। তৃণমূলের ক্ষমতার বিন্যাসে অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত কুণাল। তবে এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও যথেষ্ঠ শ্রদ্ধা রেখেছেন। তবে তিনি যা বলেছেন তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বরা কথার নির্যাসের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না। আর তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
দলের মুখপাত্র পদে রয়েছেন কুণাল। এদিন তিনি রাজ্য সরকার তথা দলের একাংশের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির সভা নিয়ে আদালতে রাজ্য সরকারকে যে ভাবে হার মানতে হয়েছে, তা নিয়ে কুণাল দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ। আদালত রাজ্যের আর্জি খারিজ করে বিজেপিকে ধর্মতলায় সভা করার অনুমতি দিয়েছে। এখানেই কুণালের বক্তব্য, ‘নন ইস্যুকে ইস্যু করা হচ্ছে, এক বার ভুল হলে মানা যায়। কিন্তু ১৪ বার একই ভুল হচ্ছে! তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।’