উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের টানে পাকিস্তানে স্বামীকে ছেড়ে পালিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পাক গৃহবধূ সীমা হায়দার। জেল থেকে বেরিয়েই তিনি জানালেন, আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান না। প্রেমিককে বিয়ে করে তাঁর সঙ্গে নতুন করে সংসার পেতে ভারতেই থাকতে চান। এমনকি নিজেকে ভারতীয় বলেও দাবি করছেন সীমা। তিনি জানিয়েছেন, ‘হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং শচীনের পরিবারের মতো নিরামিষ খাবার খাওয়া শুরু করেছেন। এখন প্রতিদিন ঈশ্বরের পুজো করেন এবং হাত জোড় করে সকলকে নমস্কার করেন তিনি। বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন। তাঁর পাকিস্তানে ফেরার কোনও ইচ্ছা নেই। সে দেশে ফিরলেই তাঁকে খুন করা হবে।’
সীমার অভিযোগ, তাঁর পাকিস্তানি স্বামী গোলাম হায়দারের সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয়। গোলাম তাঁকে প্রায়ই অত্যাচার করতেন। তবে, শচীন তাঁকে প্রচণ্ড ভালবাসেন। তাঁর সন্তানরাও শচীনকে বাবা হিসাবে মেনে নিয়েছে বলে সীমার দাবি। অন্যদিকে, গোলাম ভিডিওর মাধ্যমে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে স্ত্রী এবং সন্তানদের ফিরে পাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে পাকিস্তান থেকে পাবজি খেলার মাধ্যমে নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংহের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সীমার। আলাপ থেকে ক্রমেই দুজনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সীমার স্বামী সৌদিতে থাকতেন, সন্তানদের নিয়ে তাঁকে একাই থাকতে হত। সেই একাকিত্ব থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। অবশেষে অনেক পরিকল্পনা করে তিন বছরের প্রেমের পর নেপাল হয়ে গোপনে ভারতে প্রবেশ করেন সীমা। বেশ কয়েকদিন লুকিয়ে থাকার পর গত ৪ জুলাই পুলিশ সীমা ও তাঁর প্রেমিক শচীনকে গ্রেপ্তার করেছে। সীমাকে থাকতে দিয়েছেন বলে শচীনের বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সীমার সন্তানেরাও তাঁর সঙ্গে জেল হেপাজতে ছিল। তবে গত শুক্রবার দু’জনেই জামিন পেয়েছেন।