খড়িবাড়ি: আপনাদের নিশ্চই মনে আছে পাকিস্তানি সীমা হায়দারের কথা! পাবজি প্রেমে আসক্ত হয়ে পাকিস্তান থেকে দুবাই ও নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে উত্তরপ্রদেশের যুবক শচীন মিনাকে বিয়ে করেছিলন। এবার পাকিস্তানি সীমা হায়দারের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভারতে থাকার আর্জি জানালেন অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বর্তমানে পাকিস্তানি নাগরিক শায়েস্তা হানিফ। জন্মসূত্রে ভারতীয় গৌরী দে ওরফে শায়েস্তা হানিফকে আজ ফের পাঁচদিনের পুলিশ হেপাজতের পর শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
১৫ নভেম্বর ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাংকি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নাবালক পুত্রসন্তান সহ ওই পাকিস্তানি মহিলাকে। ধৃত শায়েস্তা হানিফ(৬৩)-এর কাছে পাকিস্তানি পাসপোর্ট থাকলেও ভারতে ঢোকার ভিসা ছিল না। পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা। খড়িবাড়ি পুলিশের তরফে ধৃত পাকিস্তানি মা ও ছেলেকে আদালতে তোলা হলে বিচারক শায়েস্তাকে প্রথমে ৭ দিন এবং পরে আরও ৫ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর ছেলেকে চাইল্ড হোমে পাঠানো হয়েছে।
শায়েস্তাকে বিগত ১২ দিন ধরে পুলিশ ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছেন। সূত্রের খবর, শায়েস্তা ভারতের অসমের মেয়ে। পরবর্তীতে তিনি সোদপুরে তাঁর দিদির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেন। এরপর কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে স্বর্ণ অলংকার তৈরির কারিগর পাকিস্তানি যুবক মহম্মদ হানিফের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর প্রেম ও বিয়ে। সেখান থেকে সৌদি আরব। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে হানিফ তাঁর ওপর অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। স্বামীর অত্যাচার ও বার্ধক্যজনিত কারণে ছেলেকে নিয়ে তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান। সৌদি আরব থেকে ই-ভিসা করে নেপাল হয়ে ভারতে ঢোকার সময় এসএসবি তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খড়িবাড়ি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্তের স্বার্থে হেপাজতে নেয়। মঙ্গলবার ফের তাঁকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় শায়েস্তা ওরফে গৌরী দে পাকিস্তানি সীমা হায়দারের প্রসঙ্গ তুলে সংবাদমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জন্মসূত্রে একজন ভারতীয় হিসাবে সন্তানকে নিয়ে ফের ভারতে থাকতে দেওয়ার আবেদন করেন।