উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সারাবছর যারা শরীরচর্চা করেন, গর্ভাবস্থাতেও তাঁদের কিছু না কিছু ব্যায়াম অবশ্যই করা উচিত। যদি ডাক্তারের বারণ বা বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকে, তা হলে সচল থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। স্রেফ শুয়ে-বসে থাকলে ও ভালো-মন্দ খাওয়াদাওয়া করলে ওজন দ্রুত হারে বাড়বে, দেখা দেবে নানা জটিলতা। তবে যাঁদের আগে গর্ভপাত, এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বা গর্ভকালীন নানা সমস্যার ইতিহাস আছে, তাঁরা ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রশিক্ষিত পেশাদারের সাহায্য নিয়েই ব্যায়াম করার সিদ্ধান্ত নিন।
সুস্থ গর্ভবতীর ক্ষেত্রে কোনও ব্যায়ামেই সমস্যা থাকার কথা নয়। ভালো ট্রেনার থাকলে তো এরোবিক্স বা ওয়েট ট্রেনিংও করতে পারেন, বিশেষত যাঁদের এই ধরনের ব্যায়াম করার অভ্যেস আছে। তবে জোরে হাঁটা, সাঁতার কাটা, ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম, যোগাভ্যাস, নাচের ক্ষেত্রে সাধারণত কোনও অসুবিধে হয় না। সিঁড়ি দিয়ে ধীরে ধীরে ওঠা-নামাও করতে পারেন। তবে সব সময় মনে রাখবেন যে সাবধানতার মার নেই। যাই করুন না কেন, অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করবেন।
যে নিয়মগুলি মেনে চলা একান্ত প্রয়োজনীয়:
১। কখনও ভরাপেটে এক্সারসাইজ করবেন না। ব্যায়াম করার অন্তত এক ঘণ্টা আগে খেয়ে নিতে হবে। তবে ব্যায়াম করতে করতে তেষ্টা পেলে জল অবশ্যই খাবেন।
২। বাস্কেটবল, ফুটবল, ভলিবলের মতো খেলা থেকে দূরে থাকুন। খেলতে খেলতে অন্য কেউ অনবধানেই ধাক্কা মারতে পারেন, হঠাৎ আপনার মাথা ঘুরে অসুস্থ লাগতে পারে – রিস্ক নেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই!
৩। খুব বেশি লাফ-ঝাঁপ, জোরে দৌড়োনোর প্রয়োজন নেই।
৪। দাঁড়িয়ে কোমর বেঁকাবেন না।
৫। এমন কোনও ব্যায়াম করবেন না, যাতে সরাসরি পেটে চাপ পড়ে। প্রথম তিন মাস অন্তত এই নিয়মটা মেনে চলা খুব জরুরি। তার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
৬। যদি কখনও ব্যায়াম করার পর স্পটিং হয়, দুর্বল লাগে, বমি হয় তা হলে তখনই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।