উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলছে দালালদের রাজত্ব। এই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরব কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। মঙ্গলবার দুপুরে সেই অভিযোগ সচক্ষে খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে হাজির হলেন মদন। গিয়ে দেখেন, অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান উপস্থিত নেই নিজের দপ্তরে। সেখান থেকেই ফোন করলেন অধ্যক্ষকে। তবে ফোনের বার্তালাপ শুনে আশপাশে উপস্থিত মানুষদের মনে হল বিধায়ক যেন হুমকির সুরে কথা বলছেন অধ্যক্ষের সঙ্গে। তবে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন হুমকি নয়, ‘উনি আমার পরিচিত। কথা বলে সবটা মিটিয়ে নেব।’
এদিন হাসপাতালে বসে মদন পার্থ প্রতিম প্রধানকে ফোন বলেন, ‘আপনি বেরিয়ে গিয়েছেন কেন? মাসের শেষে তো তিন লক্ষ টাকা মাইনে পান। এখানে দালালরাজ চলছে। আপনি কেন এই নিয়ে থানায় ডায়েরি করেননি?ও সব দালালরাজ আরজি কর, এনআরএসে হয়। ওখানে সব চুড়ি পরে বসে থাকে। এটা কামারহাটি। ঘেঁটি ধরে নাড়িয়ে দেব।’
রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে রোগীদের উপর জুলুম, মুমূর্ষু রোগীকে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া কিংবা রেফার করা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন মদন মিত্র। সম্প্রতি এসএসকেএস হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক যুবককের চিকিৎসা শুরু না করে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখার অভিযোগে হাসপাতালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন বিধায়ক।এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে ছিলেন। এসএসকেএম এর পর এবার নিজের এলাকার সাগর দত্ত নিয়ে স্বমেজাজে ধরা দিলেন তিনি।
বিধায়কের ফোন করা নিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘উনি যে আসবেন, তা আমার জানা ছিল না। জানলে হয়তো থেকে যেতাম।উনি কি বলেছেন সবটা শুনিনি। আসলে আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম তো!’
এদিন মদনের সঙ্গে ছিলেন, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা,ভাইস চেয়ারম্যান সহ মোট ৩০ জন কাউন্সিলর।