উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অশান্তি অব্যাহত ক্যানিং-এ। মনোনয়ন পর্বে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা থামেনি ভোট মিটলেও। ফের নতুন করে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং ১ নম্বর ব্লক। বিজেপির ঘরছাড়া কর্মীদের বাড়ি ফেরাতে মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে যাওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বিরোধী দলনেতার ওই কর্মসূচি জানার পরই তাঁকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল। ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের হুমকি, ‘ক্যানিংয়ে এলে শুভেন্দুকে বেঁধে রাখা হবে’।
জানা গেছে, ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভামঞ্চে শাসকদলের স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলায় হিংসার পরিবেশ তৈরির জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্যানিংয়ে এসে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বললে তাঁকে বেঁধে রাখব।” এই বিষয়ে শুভেন্দুর পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও বিধায়কের হুঁশিয়ারি ঘিরে এলাকায় নতুন করে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।
পঞ্চায়েতে মনোনয়ন পর্ব থেকেই ভাঙড়-বাসন্তির মতো অশান্ত ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের বিস্তৃর্ণ এলাকা। অভিযোগ, শাসকের সন্ত্রাসে বিজেপি, সিপিএম, আইএসএফ, এসইউসিআইয়ের পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রার্থী ও কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভোটের আগে হিংসা কবলিত ক্যানিং-এ গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। বিরোধীদের অভিযোগ, ক্যানিংয়ে এবারে পঞ্চায়েত ভোটই করতে দেয়নি বিধায়ক পরেশরাম দাস। যার ফলে এলাকার ২৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি আসন এবং জেলা পরিষদের ৩ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে শাসকদল।
বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, ভোট মিটে যাওয়ার পরও এলাকায় কমেনি তৃণমূলের সন্ত্রাস। ঘরছাড়া বহু কর্মী, সমর্থক। অনেকের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শোনার পরই শুভেন্দু জানান, মঙ্গলবার তিনি ক্যানিংয়ে যাবেন ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে। তারপরই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক পরেশরাম। শাসকদলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘মানুষের ভোট লুঠ করেও তৃণমূলের শান্তি হয়নি। এলাকায় যথেচ্ছ অত্যাচার চলছে। পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সিপিএম, বিজেপি সবাই আক্রান্ত। আগামীদিনে মানুষই এর জবাব দেবে।’