কুমারগঞ্জ: নদীর চরে জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও লিজ দেওয়া হয়নি। তার আগেই জেলা প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে দেদারে বালি তোলার কাজ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মপুর দক্ষিণ তারায়। গত ১৫-২০ দিন ধরে দিনের বেলায় ট্রাক্টরে করে তোলা হচ্ছে বালি। এদিকে বিষয়টি ওই আত্রেয়ী নদী চর লিজের জন্য আবেদন করা ব্যক্তির নজরে আসতেই এনিয়ে তিনি কুমারগঞ্জ ব্লক প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এদিকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও চলছে নদী থেকে বালি চুরির কাজ। এর ফলে সরকারি রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। এই বালি পাচার চক্রে যারা যুক্ত তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী বলেই স্থানীয়দের দাবি। ফলে তাদের নাম বলার সাহস পাচ্ছেন না কেউই।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যম পৌঁছোতেই সচেতন হয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। বালি তোলার কাজে যুক্তরা ক্যামেরা দেখে কার্যত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কে বা কারা বালি তোলার কাজ করছে তা জিজ্ঞেস করলে সেটিও তারা বলতে চায়নি। বালি পাচার করার ক্ষেত্রে গোটা এলাকায় সোর্স হিসেবে মোড়ে মোড়ে লোক রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ, সাংবাদিক বা ভূমি সংস্কার দপ্তরের গাড়ি গেলেই সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে পাচারকারীদের। এর জন্য তাদের মোটা টাকাও দেওয়া হয়।
দুষ্কৃতীরা যেভাবে বালি পাচার করছে ওই নদীর চরে, আগামী দিনে যে লিজ পাবে তার ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেই অভিযোগকারী প্রফুল্ল নন্দী জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, যতদিন না প্রশাসনের তরফে চরের লিজ দেওয়া হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত যাতে ওই নদী চর বন্ধ রাখে প্রশাসন। তা না হলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি যে লিজ পাবে তারও ক্ষতি হবে। এদিকে বালি পাচারের ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের যোগ রয়েছে বলেই বিজেপির অভিযোগ। শুধু কুমারগঞ্জ নয় গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকমভাবে পাচার করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা।