উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে। অতিরিক্ত বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র-সহ রাজ্যের একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ওই নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম। বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন সরকারি ত্রাণশিবিরে। এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে বন্যার কারণে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি চিন্তা বাড়িয়েছে অসমে।
লাগাতার বর্ষণে জলস্তর বেড়েছে অসমের ব্রহ্মপুত্র-সহ একাধিক নদীতে। ব্রহ্মপুত্র ছাড়াও বেকি, দিসাং, দিখোউ, সুবণসিরি নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে অসমে। প্রায় দুই লক্ষ মানুষ এই বন্যায় বিপর্যস্ত। গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গিয়েছে। অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যায় রাজ্যে এক লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদীর জল কোথাও কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। গুয়াহাটি এবং জলস্তর অতিরিক্তমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় জোরহাটে ব্রহ্মপুত্রের উপর ফেরি পরিষেবা বন্ধ করতে হয়েছে। উদ্ধারকার্যে রাজ্যের নানা প্রান্তে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই মুহূর্তে অসমের মোট ১৭টি জেলা বন্যার কবলে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর। তার পরেই তালিকায় আছে ধেমাজী। এই দুই জেলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে মোট ৪৫টি ত্রাণ শিবির। প্রায় ৫০০ জন সেই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল জানিয়েছে, বন্যায় রাজ্যে আট হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি জলের তলায়। বৃষ্টি না থামলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।