উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুতে ধৃত ন’জন ছাত্রের বক্তব্যেই একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কারুর কথার সাথে কারুর কথার কোন মিল নেই। তাই এবার সঠিক তথ্য তুলে আনতে ধৃত ন’জনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ৯ অগাস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ১০ অগাস্ট ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ।
গত শুক্রবার প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে। রবিবার সকালে দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ নামে আরও দুই পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের ম্যারাথন জেরার পর বুধবার আরও ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার বাসিন্দা অসিত সর্দার, মন্দিরবাজারের সুমন নস্কর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সপ্তক কামিল্যা। এরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।আর বাকিরা হলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র পশ্চিম বর্ধমানের আসিফ আফজল আনসারি, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার এখনও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়ছে।
পড়ুয়ার মৃত্যুর পর হস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে ৬৮নং ঘর থেকে পুলিশ একটি ডায়েরি উদ্ধার করে গত ১০ অগাস্ট। ডায়েরি থেকে তেমন কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও সৌরভকে জেরা করে একটি চিঠির বিষয় উঠে আসে। গত ১২ অগস্ট রাতে চিঠির সুত্র ধরেই হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় দ্বিতীয় ডায়েরি। ওই ডায়েরির ১৫১ নম্বর পাতায় ওই চিঠির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ধৃত সৌরভ দাবি করেছিলেন, চিঠি লেখার সময় তিনি ছিলেন না। যদিও পুলিশ দাবি করছে সৌরভই চিঠির ছবি তুলে এক জনকে পাঠিয়েছিলেন। এই চিঠি ও ডায়েরি রহস্য ভেদ করে দেখতে চাইছে তদন্তকারী অফিসারেরা। তাই এই ন’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা নিয়েছে লালবাজার।