প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ধর্না পাল্টা ধর্নায় উত্তাল সংসদ চত্বর। সোমবার সকালে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার হাতে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপি সাংসদরা। সেখান থেকে নারী নিগ্রহ ইস্যুতে রাজস্থান, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন তাঁরা। এরপর সকাল ১০টা নাগাদ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সদস্যরা যখন পূর্ব পরিকল্পনা এবং ঘোষণা মোতাবেক সংসদ চত্বরে মণিপুর ইস্যুতে ধর্নায় বসার জন্য হাজির হন, তখন তাঁরা দেখেন গান্ধিমূর্তির পাদদেশ ইতিমধ্যেই দখল করে রয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। আর গান্ধিমূর্তির পাদদেশ হাতছাড়া হতে দেখে বিরোধী শিবিরের নেতারা সংসদের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এবিষয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘কতটা ভীত, সন্ত্রস্ত এবং হতাশাগ্রস্ত হলে কেউ এভাবে মাঠ-দখলে নামে। এতেই প্রমাণিত বিজেপি মণিপুর ইস্যুতে কতটা কোণঠাসা। সংসদীয় সৌজন্যবোধও লোপ পেয়েছে তাদের। এই ভূমিকা লজ্জাজনক।’
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা বক্তব্য, ‘মণিপুরের ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা এত উৎসাহী, তাঁরা বাংলা নিয়ে চুপ কেন? পাঁচলা, ডোমজুড় বা মালদায় যা হয়েছে তার বিচার করবে কে?’ এদিকে, বিরোধী শিবির সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১০-৩০টা পর্যন্ত চলবে বিরোধীদের ধর্না। রাত্রিকালীন ধর্নায় পালা করে অংশ নেবেন সাংসদরা।