উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সমকামীদের বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারতের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও জানানো হয়েছে, সমকামী যুগলরা সন্তানও দত্তক নিতে পারবেন না। মঙ্গলবার সমলিঙ্গ বিবাহ আইন মামলায় রায় ঘোষণা করতে গিয়ে সমকামী সম্পর্ককে কার্যত স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আর এই রায়ের বিরোধিতা করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তসলিমা।
তসলিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘দুজন মানুষ পরস্পরকে ভালোবাসছে, তারা এক সঙ্গে থাকতে চাইছে। এ-ই কি যথেষ্ট নয় আইন তাদের কাপল বলে স্বীকৃতি দেবে? কী দরকার দেখার তাদের পোশাকের আড়ালে কোন ধরনের লিঙ্গ রয়েছে, তারা সেই লিঙ্গ দিয়ে কী করে সেক্স করবে! যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে করুক, যা খুশি করুক। সেক্স না করুক। তারা যদি সুখী, আমরা কে যে বাগড়া দেব? তারা যদি অন্যের কোনও ক্ষতি না করে তাহলে তো কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। সমকামীরা শিশু জন্ম দেয় না? কে বলেছে দেয় না? নিজের একাধিক লেসবিয়ান কাপল বন্ধুকে দেখেছি গে বন্ধুদের থেকে স্পার্ম নিয়ে গর্ভবতী হতে। শিশুপালনের ক্ষেত্রে স্ট্রেট মেয়েদের থেকে সমকামীরা কমতি কিছু নন। বরং অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা বেশিই জানেন।‘
লেখিকা আরও লেখেন, ‘উভকামী, সমকামী, রূপান্তরকামী, বিষমকামী- সব কামীদেরই আছে নিজের পছন্দে জীবন যাপন করার অধিকার। সব কামীদেরই আছে নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে শান্তিতে স্বস্তিতে বসবাস করার অধিকার। এই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়াটা কোনও গণতন্ত্রের কাজ নয়।‘
আবার বিয়েতে বিশ্বাস করেন না লেখিকা তসলিমা। এটি একটি পুরুষতান্ত্রিক ইন্সটিটিউশন বলে দাবি তাঁর। কিন্তু তিনি জানান, কেউ যদি বিয়েতে বিশ্বাস করে, বিয়ে করতে চায়, সেই অধিকারকে ১০০ ভাগ সমর্থন করেন। তিনি লেখেন, ‘বিয়ে কারা করবে, বিয়ে করার পর তারা কী করে কী করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ভারতের বিচারকদের উচিত ছিল সমকামী বিবাহকে লিগ্যাল করা।‘