উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছেন। তার ফলে অসংখ্য রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। আপনার শরীরেও কি এই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে? জেনে নিন তা বোঝার কয়েকটি উপায়:
আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য কি খারাপ?
ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড় ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে পড়ে৷ বিশেষ করে চল্লিশের কাছাকাছি এলেই তার ফল ভোগ করতে আরম্ভ করেন মহিলারা, মেনোপজ়ের পর অবস্থা আরও খারাপ হয়৷ যাঁদের হাড়ের স্বাস্থ্য খারাপ, তাঁরা হাঁটুর ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন অল্প বয়সেই৷ সামান্য চোট-আঘাতে হাড় ভেঙেও যেতে পারে।
প্রায়ই শরীরে ব্যথা হয়? ক্লান্ত লাগে?
হাড় দুর্বল হলেই জোড়ের জায়গাগুলোতে ব্যথা হবে৷ পেশিগুলিও ক্লান্ত হবে তাড়াতাড়ি৷ তাই সামান্য পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে ব্যাপারটাকে মোটেই হালকাভাবে নেবেন না৷ ভিটামিন ডি ডেফিশিয়েন্সি থেকে কিন্তু পরবর্তীকালে অস্টিওপোরোসিস, ওবেসিটি, হৃদরোগ এমনকী টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
প্রতিকার:
যারা গর্ভবতী, তাঁরা ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে ভুগলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থায় এই অত্যাবশ্যক ভিটামিনের অভাব হলে ভ্রূণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তার বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। গর্ভস্থ শিশুর হাড় শক্তপোক্ত না হলে সে সারাজীবন ভুগবে।
অনেকে বলেন, দিনের বেলা ১০টা থেকে বেলা তিনটের মধ্যে অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য ত্বকে রোদ লাগাতে পারলে ভিটামিন ডি সংক্রান্ত সমস্যা হয় না। এই সময়ে কিন্তু সানস্ক্রিন লাগালে চলবে না। সপ্তাহে মোট আধ ঘণ্টার জন্য হাতে-পায়ে, মুখে, পিঠে রোদ লাগাতে পারলেই অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
নানা সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের শরীরে সূর্যালোক থেকে যতটা ভিটামিন ডি-এর আত্তীকরণ হওয়ার কথা, ততটা সম্ভবত হয় না। তাই কেবল সূর্যালোককেই সমাধান বলে ভেবে নিলে ভুল করবেন। জোর দিন সুষম খাওয়াদাওয়ার উপর। ডিম, দুধ বা দুধজাত খাবার, সবুজ শাকসবজি, ফল রাখুন রোজের খাদ্যতালিকায়। মনে রাখবেন, টানা ১০-১২ঘণ্টা বসে থাকার জন্য আমাদের শরীর তৈরি হয়নি। তাই যতটা সম্ভব হাঁটাচলা করুন, সচল থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ও ধূমপান-মদ্যপান থেকে দূরে থাকলে অনেক সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।