উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০২৪ এর আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল নেবে ভারত। এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সম্প্রতি লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা দাবি করেছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের। সেই বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কাশ্মীরের পুনর্দখল বিষয়ে নিশীথের এদিনের মন্তব্য নিয়ে জল্পনা উঠেছে চরমে। অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ সাফ জানিয়েছেন, “যে কোনও দিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে উড়তে পারে তেরঙ্গা।”
তাহলে লোকসভা নির্বাচনের আগেই ভারত দখলে নেবে পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীর? ভারত-পাকিস্তানের পারস্পরিক উত্তেজনার অন্যতম প্রধান ইস্যু কাশ্মীর। চলতি লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা বলেছিলেন, ‘নতুন বিলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন থাকছে। কারণ পিওকে (পাক অকুপায়েড কাশ্মীর) আমাদেরই অংশ।’ এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ভারত সরকার কি এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিজেদের দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে? এদিন অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথের দাবিতে ফের সেই বিতর্ক আরও একবার উসকে দিল।
এদিন নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা’র মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার লোক যখন আছেন তখন যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ৩৭০এর মতো ধারাকে যদি কাশ্মীর থেকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারি, লালচকে যদি ভারতের তেরঙ্গা ঝান্ডা উড়তে পারে। তাহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনওদিন সকালে উঠে দেখতে পারেন ভারতের পতাকা উড়ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” তিনি আরও বলেছেন, “এমন দুই বলিষ্ঠ ব্যক্তি দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যাঁরা দেশের সম্মান এবং স্বার্থের জন্য যা যা প্রয়োজন তাঁরা করতে পারেন।” পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে বিজেপি ভারতের অংশ বলেই মনে করে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার কাশ্মীর ইস্যুকে জাগিয়ে দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভায় আসন বিন্যাস নিয়ে সংসদে সংশোধিত বিল এনেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে জম্মুর আসন সংখ্যা ৩৭ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ এবং কাশ্মীরের আসন সংখ্যা ৪৬ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ করার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা’র ডেপুটি নিশীথের এই বক্তব্য ঘিরে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের জল্পনা বেড়েছে। তাহলে কি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে কাশ্মীরকে পুনরুদ্ধার করা হবে? দখলদারির যোগ্য জবাব পাবে ইসলামাবাদ? এর উত্তর পেতে দেশবাসী তাকিয়ে মোদি-শার দিকেই।