উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের মাঠ কাঁপালেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মাহির দুরন্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হেরে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। ধোনির পাশাপাশি এদিন ভালো ব্যাট করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও মইন আলি। এর সুবাদে চেন্নাই ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লখনউ ১৯ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এদিন টসে জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুল প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় চেন্নাই সুপার কিংসকে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ওপেন করতে নামেন রচিন রবীন্দ্র ও অজিঙ্কা রাহানে। দ্বিতীয় ওভারে রচিন রবীন্দ্রকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে পাঠান মহসিন খান। এর পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ঠাকুরের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। অজিঙ্কা রাহানে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। রাহানেকে বোল্ড করেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। এরপর মার্কাস স্টইনিসের বলে বড় শট মারতে গিয়ে মাত্র তিন রান করে আউট হন শিবম দুবে। এর পর মইন আলি স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করলেও রবি বিষ্ণোইয়ের বলে ৩০ রান করে আউট হন তিনি। মইন আলি ফিরতেই এমএস ধোনি মাঠে নামেন। ধোনি আসার সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়াম গর্জে ওঠে। মাত্র নয় বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন তিনি। এই সময় ধোনিও মারেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। এর সুবাদে চেন্নাই ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে এবং লখনউকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় চেন্নাই সুপার কিংস।
১৭৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে পাওয়ারপ্লেতে লখনউ দল উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান তোলে। কুইন্টন ডি’কক এবং কেএল রাহুল প্রথম উইকেট জুটিতে একশোর বেশি রান যোগ করেন। এ সময় কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডি’কক দুজনেই নিজেদের হাফ সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন। ১৪.৬ ওভারে ৪৩ বলে ৫৪ রান করে মুস্তাফিজুরের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি’কক। এই সময়ে দলের রান ছিল ১৩৪ রান। এরপরে ব্যাট করতে নামেন নিকোলাস পুরান। ৫৩ বলে ৮২ রান করে আউট হন কেএল রাহুল। ১৭.১ ওভারে তিনি আউট হন আউট হন মাথিসা পথিরানার বলে। শেষ পর্যন্ত নিকোলাস পুরান (১২ বলে ২৩ রান) ও মার্কাস স্টইনিস (৭ বলে ৮ রান) ম্যাচ শেষ করেন এবং লখনউকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। চলতি আইপিএল-এ চতুর্থ জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের।