তুফানগঞ্জ: একই এলাকায় দুই ছবি ধরা পড়ল। কোথাও দেড় বছর ধরে পানীয় জল পরিষেবা একদম বন্ধ। আবার কোথাও টানা ৬ মাস থেকে অঝোরে সবসময় পড়ছে পানীয় জল। সেই জলে এতটাই আয়রন যে কেউ ছুঁয়েও দেখছে না। এইভাবেই জলের অপচয় হচ্ছে। ছবিটি তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের ধলপল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গুড়িয়ারপাড় এলাকার। এই এলাকায় পিএইচই-এর পাইপ বসলেও পানীয় জল পরিষেবা এখনও চালু করা হয়নি। কবে হবে কারও জানা নেই।
এই এলাকায় প্রায় চার হাজারের মতো বাসিন্দা রয়েছে বলেই এলাকাবাসীরা জানান। এখানে দু বছর আগে ফিফটিন সিএফসি ফান্ডের ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকায় সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প বসানো হয়। শুরুতে ৬ মাস জল চালু থাকলেও দেড় বছর থেকে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। কিছুটা দূরেই মাস ছয়েক আগে ফিফটিন সিএফসি ফান্ডের ৪ লক্ষ ৪১ হাজার টাকায় সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প বসানো হয়। শুরু থেকেই এই জলে এতটাই আয়রন বের হচ্ছে যে, কেউ আর ওই জলের ধারেকাছেও যায় না। শুরু থেকেই অঝোরে জল পড়েই চলেছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। এইভাবে জলের অপচয় মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা ললিত চন্দ্র বর্মনের কথায়, ‘প্রায় ৬ মাস আগে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পানীয় জলের পাম্প বসানো হলেও আমাদের কোনও কাজে লাগছে না। লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়। এতটাই আয়রনযুক্ত জল বের হচ্ছে তা পান করলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। সারাদিন জল অপচয় হয়েই চলেছে।‘
তৃণমূলের ধলপল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি গিরিজানন্দ সরকার জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। ধলপল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতমী দাস বলেন, ‘ভোটপর্ব মিটে গেলে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মেরামত করে পরিষেবা চালু করা হবে।‘ তুফানগঞ্জ-১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জগদীশ বর্মা বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। এলাকাবাসী যাতে পরিষেবা পায় তা দেখা হবে।‘