উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মাশুল গুনছেন দুই দেশের মানুষই। গত প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। কিন্তু এরই মধ্যে সবথেকে বড় মর্মান্তিক হামলার ঘটনা ঘটল গাজার আল-আহলি হাসপাতালে। এই হাসপাতালে বিস্ফোরণের ফলে অন্তত ৫০০ জনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পরিস্থিতি যা তাতে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল ইজরায়েলই এই হামলা চালিয়েছে। এরপরই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু ইজরায়েল প্রথমেই অস্বীকার করে তাঁরা হামলা চালায়নি। তবে কারা হামলা চালিয়েছে তাও পরিষ্কার করে দেয় ইজরায়েল। তাদের অভিযোগ এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে প্যালেস্টাইনের আরও একটি জঙ্গি গোষ্ঠী। এতদিনের ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে এই প্রথম ইসলামিক জিহাদ নামে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম সামনে আসে। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে তরজা। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনও ইজরায়েলে পৌঁছে জানিয়েছেন, ইহুদিরা নয় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠীই হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
ইজরায়েলের দাবি, ইসলামিক জিহাদ পৃথক জঙ্গিগোষ্ঠী। তবে তারা হামাসের সহযোগি হিসেবেই কাজ করে। ১৯৮০ সালে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্ম হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত গাজার নিয়ন্তরণ ছিল এই ইসলামিক জিহাদের হাতেই। হামাসের মতোই বৃহত্তর প্যালেস্টাইন তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে এদের। তবে হামাসের সঙ্গে বিরোধও রয়েছে এই ইসলামিক জিহাদের। ফাতি শাকাকি ও আবদ আল-আজিজ আওদা নামের দুই জিহাদি নেতা এই জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেন। মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য ছিল তারা।হামাস মূলত গাজায় সক্রিয় থাকলেও ইসলামিক জিহাদের উপস্থিতি রয়েছে সিরিয়া, লেবানন, ওয়েস্ট ব্যাংক এলাকাতেও। একসময় ইজরায়েলি সেনার উপর হামলাও চালিয়েছে এরা। তবে ইজরায়েলের বাহিনি এদের একাধিক নেতাকে হত্যা করার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে এই সংগঠন। বরং সক্রিয় হয়ে ওঠে হামাস। তবে মঙ্গলবার রাতে গাজার হাসপাতালে হামলার সূত্রে ফের একবার এই জঙ্গি সংগঠনের নাম সামনে চলে এসেছে। তবে ঠিক কারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা সম্পূর্ণ কাটেনি।