গুয়াহাটি: জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)-র সদস্যরা কি ডেরা বাঁধছেন অসমে? চলছে শিক্ষিত তরুণদের মগজধোলাই? সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলী অন্তত এমনটাই বলছে। উত্তর-পূর্বে জঙ্গিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছড়িয়েছে উদ্বেগ। তবে সতর্ক রয়েছেন রাজ্যের পুলিশ ও গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও বিষয়টির ওপর নজর রাখছে।
এদিকে, জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসে যোগ দেওয়ার আগে আইআইটি গুয়াহাটির বায়োটেকনোলজির এক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে অসম পুলিশ। ধৃতের নাম তৌসিফ আলি ফারুকি। শনিবার সন্ধ্যায় হাজো থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের বাড়ি দিল্লির ওখলায়।
কয়েকদিন আগেই আইএসআইএস ইন্ডিয়ার প্রধান হারিস ফারুকি ওরফে হারিস আজমল ফারুকি এবং তাঁর সহযোগী অনুরাগ সিং ওরফে রেহানকে ধুবরি জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর এবার তৌসিফকে গ্রেপ্তার করা হল। তিনি জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে চলেছেন, এমন লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই ক্যাম্পাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণ। ইমেলে আইআইটি-গুয়াহাটির ওই ছাত্রের সঙ্গে আইএসআইএসের যোগাযোগ ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
অসম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং জানিয়েছেন, ওই ছাত্র আইএসআইএসে যোগ দিতে চাইছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় হাজো থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসটিএফ) কল্যাণ কুমার পাঠক বলেছেন, ‘গোটা বিষয়টি জানার পরই আমরা আইআইটি-গুয়াহাটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ওই ছাত্র দুপুর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। এরপর তাঁর খোঁজ পেতে তল্লাশি শুরু হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় অবশেষে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে হাজো থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই ছাত্রকে এসটিএফ অফিসে আনা হয়েছে। আইএসআইএসের পতাকার আদলে একটি কালো পতাকা ছাত্রটির হস্টেলের ঘরে পাওয়া গিয়েছে। ধৃত বেশ কিছু তথ্য বিবরণ দিয়েছে, তবে তদন্তের স্বার্থে সেসব প্রকাশ করা যাবে না।