শুভজিৎ চৌধুরী, ইসলামপুর: ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের (Islampur Hospital) পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে (Pediatric Ward) পর্যাপ্ত শয্যার অভাব তো রয়েইছে। কখনও রোগীর সংখ্যা বাড়লে এক বেডে রাখা হয় একাধিক শিশুকে। গরমের দিনে ভীষণ সমস্যার মুখে পড়তে হয় শিশু ও তাদের পরিজনদের।
এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ২০২২ সালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল এসি (Central AC) বসানোর আবেদন জানিয়েছিল। অবশেষে চলতি মাসে কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। সেন্ট্রাল এসি বসানোর খবরে খুশি এলাকাবাসী। পাশাপাশি বিভিন্ন মহল থেকে মহকুমা হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল রয়েছেন ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লক সহ ইসলামপুর সংলগ্ন বিহারের কয়েক হাজার মানুষ। বিভিন্ন সময় রোগী বেশি হলে হাসপাতালের বারান্দায় রোগীদের চিকিৎসা করতে হয়। কিন্তু বড়দের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে শিশুরা। মহকুমা হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে মোট ৩০টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু কখনো-কখনো রোগীর সংখ্যা শয্যার তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে গেলে একই শয্যায় একাধিক বাচ্চাকে ভর্তি করতে হয়। গমের সময় পেটব্যথা, জ্বর সহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে বাচ্চারা হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রচণ্ড গরমে বাচ্চাদের যেমন চিকিৎসা করতে সমস্যা হয়, তেমনই বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েন পরিজনরাও। এর ফলে পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল এসি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার সন্দীপন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গরমে পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে বাচ্চাদের প্রচণ্ড কষ্ট হত। ২০২২ সালের শেষের দিকে ওই ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল এসি বসানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। ২০২৩ সালের শেষে অনুমোদন পেয়ে চলতি মাসের ১৪ কিংবা ১৫ তারিখের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’ তিনি জানান, কাজ শুরু হওয়ার জন্য এই ওয়ার্ডটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। সেখানে ১৫-১৭টি শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুরোনো ওয়ার্ডে ৩০টি শয্যা থাকার কারণে সেখানে সবধরনের রোগীদের ভর্তি নেওয়া হত। কিন্তু ১ মাসের জন্য শয্যার সংখ্যা কমে যাওয়ায় খুব ক্রিটিক্যাল রোগীদের ছাড়া আর কাউকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব হবে না। সেন্ট্রাল এসি লাগানো হয়ে গেলে পুনরায় সব ধরনের রোগীদের ভর্তি নেওয়া হবে।