অরুণ ঝা, ইসলামপুর: ইসলামপুর (Islampur) শহরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সড়কের দু’পাশে থাকা কমপক্ষে ৫০টি দোকানের ওপর কোপ পড়বে বলে পথিপার্শ্বস্থ ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে। যদিও শহরের উন্নয়নের স্বার্থে পুরসভা ও পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করতে তারা রাজি বলে সমিতি দাবি করেছে।
অন্যদিকে সিপিএম ইতিমধ্যে পূর্ত দপ্তরের কর্তাদের কাছে সড়কের দু’পাশের নতুন ফুটপাথ যাতে উঁচু করা হয় এই মর্মে দাবি জানিয়েছে। পূর্ত দপ্তর জানিয়েছে, ট্রাফিক পয়েন্টগুলিতে ২১ মিটার ও বাকি রাস্তার জন্য ১৬ মিটার পর্যন্ত সরকারি জমি ব্যবহার করা হবে। পুর চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল (Kanaia Lal Agarwal) সমস্যার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে জটিলতা মিটিয়ে ফেলা হবে।
প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ইসলামপুর শহরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের (Road expansion) কাজ চলতি মাসেই শুরু হয়েছে। অলিগঞ্জ বাইপাস মোড় থেকে শ্রীকৃষ্ণপুর বাইপাস মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ হবে। মূল সড়ক সম্প্রসারিত হয়ে ১০ মিটার হবে। শহরের মাঝখানে ১০ মিটার সড়কের দু’পাশে ২ মিটার করে পেভার্স ব্লক বসানো আধুনিক ফুটপাথ তৈরি হবে।
পূর্ত দপ্তর জানিয়েছে, সড়ক ও ফুটপাথ সহ ১৪ মিটার বাদে কাজের সুবিধার্থে আরও এক মিটার করে জমি নেওয়া হবে। ফলে সড়ক সম্প্রসারণের জন্য শহরের মাঝে বড় অংশে ১৬ মিটার জমি সম্প্রসারণের জন্য ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে শহরের মোট চারটি ট্রাফিক পয়েন্টে সড়কের দু’পাশ মিলিয়ে মোট ২১ মিটার জমি কাজের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই সড়কে ফুটপাথ সহ সম্প্রসারণের দাবি দীর্ঘদিনের। ফলে এই প্রকল্প রূপায়ণ হওয়া শুরু হতেই আমজনতার কথা মাথায় রেখে সরাসরি কোনও সংগঠনই কাজের বিরোধিতায় নামার সাহস দেখাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ী সমিতি ৫০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বললেও পূর্ত দপ্তরের টেকনিকাল টিমের ভ্রান্তিকে দায়ী করে উষ্মা প্রকাশ করেছে। সংগঠনের সম্পাদক সুভাষ চক্রবর্তী বলছেন,‘উন্নয়নের কাজ নিয়ে আমাদের কোনও প্রশ্ন নেই। তবে পূর্ত দপ্তরের জমি মার্কিংয়ে কিছু ত্রুটি হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়। ৫০টির বেশি দোকান এর ফলে প্রভাবিত হবে। তাদের সামনের বারান্দা সহ অনেকটাই ভাঙা পড়বে। পুর প্রশাসন এবং পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। আশাকরি শান্তিপূর্ণ সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে।’ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ দাসের বক্তব্য, ‘সরকারি জমিতে সরকারি কাজ মানুষের স্বার্থেই হোক। আমাদের দাবি ফুটপাথ উঁচু করা হোক। না হলে ওই ফুটপাথ জনতার কাজে লাগবে না।’
পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ভবতোষ দাস বলেছেন, ‘প্রকল্পের জমিতে কোনও দোকান পড়লে তা তো ভাঙতেই হবে। না হলে কাজ হবে কী করে।’ কানাইয়ার বক্তব্য, ‘সমস্যা কিছু রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত মিটিয়ে নেব।’