নকশালবাড়ি: আর্থমুভার বসিয়ে মানঝা নদীর খনন কাজ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নদীতে খনন কাজের বিষয়ে কিছুই জানেন না শিলিগুড়ি সেচ দপ্তর। ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদেল্লাজোত এলাকায়। হাতিঘিসা হাইস্কুল থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মানঝা নদীতে আর্থমুভার নামিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে খনন করা হচ্ছে। নদীতে লম্বালম্বিভাবে প্রায় চারশো মিটার অংশ খনন করে বালি-পাথর তোলা হচ্ছে। এর জেরে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই খননের ফলে নদীতে জলের গভীরতা প্রায় আট থেকে দশ ফুট বেড়ে গিয়েছে। যে কোনও সময় জলে ডুবে প্রাণহানির ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও মানঝা নদীতে এই খনন নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনও আধিকারিকই কিছু জানেন না। হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ক্যাথরিন তামাং বলেন, ‘মানঝা নদীতে কার নির্দেশে কেন এত বড় খনন করা হচ্ছে আমরা কিছুই জানি না।’ নকশালবাড়ির বিডিও প্রণব চট্টরাজ বলেন, ‘মানঝা নদীতে যেভাবে খনন হয়েছে তা নিয়ে আমি কিছুই জানি না।’
নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষও মানঝা নদীতে আর্থমুভার বসিয়ে খনন করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, মানঝা নদীতে সেবদেল্লাজোতের কাছে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগ থেকে একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু তার জন্য চারশো মিটারের উপরে লম্বালম্বিভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে কেন খনন করা হচ্ছে তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি আরও জানান, পাশেই প্রচুর সরকারি জমি রয়েছে। কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে নদীতে খনন করে থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, হাতিঘিসায় মানঝা নদীতে খনন কাজ নিয়ে কিছুই জানেন না শিলিগুড়ি সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়ম গোস্বামী। তিনি এদিন বলেন, ‘হাতিঘিসায় মানঝা নদীতে খনন কাজের কোনও অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’